গাজায় সেনা মোতায়েন নিয়ে তুরস্কের বিবৃতি
প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:৩৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

গাজায় আন্তর্জাতিক বিশেষ বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তুরস্কের অংশগ্রহণ নির্ভর করবে এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে বেশ কয়েকটি দেশ গাজায় সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে। এই দেশগুলো প্রাথমিকভাবে প্রস্তাবিত বাহিনীর কার্যপরিধি বুঝে নিতে চাইছে।

ইস্তাম্বুলে ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর ফিদান সাংবাদিকদের বলেন, দেশগুলো একটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব দেখতে চায়, যা এই বাহিনী গঠন করবে, মিশনের শর্তাবলী সংজ্ঞায়িত করবে এবং এর বৈধতা দেবে।

যদিও ইসরায়েল তুরস্কের সেনা মোতায়েনের তীব্র বিরোধী, তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সপ্তাহান্তে বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে আঙ্কারা প্রয়োজনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত।

ফিদান আরও যোগ করেন, এই দেশগুলো গাজায় সেনা পাঠাবে কি না, তা নির্ভর করবে মিশনের সংজ্ঞা এবং পরিধির ওপর। মিশনটির ক্ষমতা কী হবে এবং আক্রমণের মুখে তারা নিজেদের কীভাবে রক্ষা করবে, সে বিষয়ে আঙ্কারা স্পষ্টতা চেয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বীকার করেন, মিশনের ম্যান্ডেট যদি তাদের নীতির পরিপন্থী হয়, তবে দেশগুলোর পক্ষে অংশগ্রহণ করা কঠিন হতে পারে। তিনি বলেন, শান্তির জন্য বোঝা বহন করতে এবং যেকোনো প্রয়োজনীয় ত্যাগ স্বীকার করতে আমরা প্রস্তুত। তবে, তুরস্কের জন্য কাঠামো পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা আমাদের নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।

সূত্র: মিডলইস্ট আই

এলএইস/