
|
১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে জনসমুদ্রে পরিণত করার আহ্বান
প্রকাশ:
০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:৪৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
আগামী ১৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনের পূর্ব প্রস্তুতি, কার্যক্রম ও সার্বিক অবস্থা গণমাধ্যমের মাধ্যমে দেশবাসীর সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ। সেখানে আগামী ১৫ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এই সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের আহ্বায়ক ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটি বাংলাদেশের আমির মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর ও আন্তর্জাতিক তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কুরআন হাদিসের এমন শতাধিক অকাট্য প্রমাণের ভিত্তিতে মুসলিম উম্মাহর সকলেই এ বিষয়ে ঐক্যমত পোষন করেছেন যে- হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই শেষ নবী ও রাসূল। তারপর যে কেউ নবুওয়তের দাবি করবে, সে মিথ্যুক ও প্রতারক। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এই সুস্পষ্ট অকাট্য আকীদার বিপরীতে আহমদিয়া বা কাদিয়ানী সম্প্রদায় মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে নবী বিশ্বাস করে এবং তার উদ্ভাবিত কুফরি মতবাদকে ইসলাম বলে প্রচার করছে, যা ইসলাম ও খতমে নবুওয়তের পরিপন্থী এবং সুস্পষ্ট ভ্রান্ত বিশ্বাস। কাদিয়ানি মতবাদের সূচনালগ্ন থেকেই ওলামায়ে কেরাম ও মুসলিম উম্মাহ একে ইসলামের মৌলিক আকীদার পরিপন্থী ঘোষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক, জাতীয় বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ও আদালতও আনুষ্ঠানিকভাবে কাদিয়ানিদের অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করেছে। ১. রাবেতা আলমে ইসলামী (মুসলিম ওয়ার্ল্ড লিগ): সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুগণ! অতএব, এসকল সমস্যার একমাত্র সমাধান–কাদিয়ানিদের স্বতন্ত্র পরিচয়ে সংখ্যালঘু অমুসলিম হিসেবে ঘোষণা করা। এতে মুসলমানদের ধর্ম যেমন সুরক্ষিত থাকবে, কাদিয়ানিরাও নিরাপদে নিজ ধর্ম পালন করতে পারবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা ও সাম্প্রাদায়িক সম্প্রীতিও অটুট থাকবে।
পরিশেষে আমরা সরকার, প্রশাসন, গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল এবং নাগরিক সমাজের উদ্দেশ্যে দ্যার্থহিনভাবে বলতে চাই, খতমে নবুওয়ত এর বিশ্বাস কোনো দলীয় বিষয় নয়। এটি সরাসরি ঈমান এবং ইসলামের মূল ভিত্তি। অতএব আসুন- দলমত নির্বিশেষে আমরা আগামী ১৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনকে মহাসমুদ্রে পরিণত করি। এবং আক্বীদায়ে খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলে দলে সমবেত হয়ে মহাজাগরণ তৈরী করি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মাওলানা মামুনুল হক,মাওলানা বাহা উদদীন যাকারিয়া, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা রশীদ আহমাদ,মূফতি শুয়াইব ইব্রাহিম,মুফতি মোহাম্মদ আলী আফতাব নগর, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, মাওলানা নুর হোসাইন নুরানী,মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী,মুফতি আরিফ বিল্লাহ কাসেমী,মাওলানা আব্দুল মজিদ,মাওলানা আবুল কাশেম আশরাফী, মুফতি শফিক সাদী, মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা আব্দুল গাফফার, মাওলানা আবু ইউসুফ প্রমুখ। এমএম/ |