শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস কুলঞ্জ ইউনিয়ন শাখা কমিটি গঠন সম্পন্ন ইসলামী ব্যাংকের ডিমিনিশিং মুশারাকার মাধ্যমে বাড়ি ক্রয় করা বৈধ হবে কি? শেষ হলো ইফার পক্ষকালব্যাপী সিরাতুন্নবী (সা.) অনুষ্ঠানমালা সুদানে মসজিদে ড্রোন হামলায় প্রাণ গেল ৭৫ জনের রপ্তানি সত্ত্বেও ভারতে পাচার হচ্ছে চাঁদপুরের ইলিশ দেশের মানুষ আর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যেতে চায় না: পীর সাহেব চরমোনাই বকেয়া বেতনের দাবিতে ভালুকায় শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি

রমজানে স্কুলে কুরআন শেখানোর প্রস্তাব দার্শনিক আলেম মুসা আল হাফিজের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| আদিয়াত হাসান ||

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর আমন্ত্রণে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে কাজ করছেন গবেষক ও দার্শনিক আলেম মুসা আল হাফিজ।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোষ্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানান তিনি। এরসঙ্গে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে বেশকিছু যুগান্তকারী কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন বলেও তার পোস্ট থেকে জানা যায়।

পাঠকের জন্য তার ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হলো-

জনতুষ্টিবাদী বক্তব্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদি তার আদৌ কোনো বাস্তবতা না থাকে। স্কুলে ইসলাম  শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলে বক্তব্য রেখেছেন ধর্মমন্ত্রী মহোদয়।

এরশাদের আমল থেকেই তা বাধ্যতামূলক। নতুন করে তা হচ্ছে না। এরকম কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি।

একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় দুই সপ্তাহ আগে। রমজানে স্কুলগুলো বন্ধ থাকে। স্কুল চালু করবার প্রশ্নটি এনসিটিবির বৈঠকে উঠে আসে। আমি বলেছিলাম, রমজানে স্কুলের বহু শিক্ষার্থী কুরআন শিখেন। ইসলাম শিখেন। তারা কি বঞ্চিত হবেন?

কেউ কেউ তাদের পার্সেন্টিসের প্রসঙ্গ তুললেন। প্রস্তাব করলাম, রমজানে স্কুলে যে ক্লাসগুলো হবে, তাতে মুসলিমদের জন্য  কুরআন শেখার ক্লাস যুক্ত করলে ভালো হবে।

বিস্তর আলাপের পরে এনসিটিবির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে সব স্কুলে কুরআন শেখাবার শিক্ষক নেই, সেখানে স্থানীয় মসজিদের ইমামদের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।

(রমজানে ক্লাস চলবে বিশ রমজান অবধি। সকাল দশটা থেকে সাড়ে বারোটা অবধি। এটা প্রস্তাবনা। সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়।)

এনসিটিবি থেকে ব্যাপারটা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় সকল দিকের পর্যালোচনা করে  সিদ্ধান্ত নিলে তা বাস্তবায়িত হবে।

এনসিটিবির আমন্ত্রণে পাঠ্যপুস্তক নিয়ে কাজ করছি। তারা আমাকে শেষ দিকে আমন্ত্রণ করেছেন, যখন পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন শেষ বললেই চলে।

নবম শ্রেণীর ইংরেজি পাঠ্যপুস্তকে জ্যামাইকান এক মেয়ের গল্পে গুরুতর সমস্যা ছিলো। ব্যাপারটি নিয়ে আপত্তি তুললে বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে তা যায়। তারা আপত্তি খারিজ করে দেন। ফলে বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্ট অংশ সামাজিক মাধ্যমে পাবলিশ করি।

নানা পক্ষের প্রতিক্রিয়া ও মতামত সমূহ সংগঠিত হয়। শেষ অবধি শিক্ষা মন্ত্রণালয় তিন দিন আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই গল্পে এবোর্সনের অংশটি বাদ দেওয়া হবে। যে বইগুলো এখনো ছাপা হয়নি,তাতে এ অংশ বাদ পড়বে। আর যে বইগুলো ছাপা হয়ে গেছে,তার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ