হজের সফরে সেলফি নয়
প্রকাশ:
০১ মে, ২০২৫, ০৯:৩৪ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
মাওলানা আবদুল গাফফার খান হাজিরা ব্যাপকহারে মোবাইল ব্যবহারের করছে। সেলফি তোলছে। লাইভ প্রচার করছে। নারী-পুরুষের পর্দার প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে না। গোনাহের কাজ করছে। হজের সফরেও কাবা শরীফের সামনে সেলফি তোলছে। ছবি ধারণ করছে। এই ছবি ধারণকে স্বাভাবিক মনে করছে। ভালো-মন্দ দিক বিবেচনা করছে না। মানুষের এই করুণ চিত্র আমাদের হৃদয়ে কষ্ঠের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে হজ ও উমরার ভাবগাম্ভীর্যতা হারাচ্ছে। এই অতিরিক্ত স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে না পারলে হজের মতো ফরজ ইবাদতেও গোনাহ যুক্ত হচ্ছে। আমার অভিজ্ঞতা হলো, হজ ও উমরার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি স্মার্টফোন থেকে যত দূরে থাকতে পারবে, তার হজ কবুল হওয়ার আশাবাদ তত বেশি। এই জন্যই আমরা প্রশিক্ষণ সেশনগুলোতে বারবার স্মরণ করিয়ে দিই কুরআনের সেই আয়াতÑ হজের সময় যৌনাচার করবে না, গুনাহ করবে না এবং ঝগড়া করবে না। এখানে অপ্রয়োজনীয় মোবাইল ব্যাবহারের ফলে প্রচ- রকম গুনাহের আশঙ্কা আছে। সেই আশঙ্কা থেকে একজন হাজিকে মুক্ত থাকতে হবে। সেলফি মুক্ত হজ আদায়ের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আরব বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা হজের সময়, বিশেষ করে কাবা শরীফের সামনে মোবাইল ব্যবহার থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। এমনি অনেক সময় কাবার ইমামদের নিরাপত্তাকর্মীরা হাজিদের মোবাইল কেড়ে নিয়েছেন। ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে মানা করছেন। তবে সৌদি সরকার এখনো কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়নি। সম্ভবত আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার আশঙ্কায় বিষয়টি তারা নীরবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমরা সৌদি সরকারের কাছে বিষয়টি নিয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখার অনুরোধ করবো। আমরা প্রত্যেক হাজিকে পরামর্শ দেব: স্মার্টফোন প্রয়োজনীয় কাজের জন্যই ব্যবহার করুন। অপ্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার, ভিডিও ধারণ, রিলস দেখা বা বন্ধুদের দেখানোর উদ্দেশ্যে ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন। এ বিষয়ে সতর্ক থাকার দু'টি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। এক. মূল্যবান সময় নেকি অর্জনের পরিবর্তে গুনাহে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ইবাদতটি লোক দেখানোয় পরিণত হতে পারে, যা ইবাদতের বিশুদ্ধতা নষ্ট করে। দুই. হজের সময় মোবাইল থেকে দূরে থাকা মানে, নিজের ইবাদতকে আরও পরিশুদ্ধ করা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সোপান তৈরি করা। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সেলফি মুক্ত হজ পালন করার তাওফিক দান করুন। লেখক : চেয়ারম্যান, আল ওয়াসী হজ গ্রুপ এনএইচ/ |