দারুল উলূম রামপুরার কেনা জায়গা দখলের পাঁয়তারা, নির্মাণকাজে বাধা
প্রকাশ: ০১ মে, ২০২৫, ১১:৩৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

রাজধানীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম রামপুরা (বনশ্রী) মাদরাসার কেনা জায়গা দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে প্রতিবেশী একটি চক্র। জনগণের অর্থে কেনা মাদরাসার জায়গাটিতে নির্মাণ করতে গেলে বাধা দিচ্ছে তারা। এমনকি নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলাও চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) মাদরাসার সম্মেলন কক্ষে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মাদরাসার শিক্ষকরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম রামপুরা (বনশ্রী) মাদরাসার নামে বিগত ০৮.০২.২১ ও ১৩.১২.২১ তারিখে দুটি দলিলের মাধ্যমে এক টুকরা জমি কেনা হয়। জমির পরিমাণ ৬৫২ অযুতাংশ। জমিটি কেনার পর কর্তৃপক্ষ মাদরাসার নামে নামজারি ও (হাল নাগাদ) খাজনা পরিশোধ করে। উক্ত জমির প্রতিবেশী মজিবর গংদের একটি ঘরের ৫/৭ ফিট অংশ মাদরাসা জমির সীমানায় বিদ্যমান থাকায় এবং জমিতে নির্মাণ কাজের প্রয়োজনে তাদের বারবার সেটি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা তা সরিয়ে নেওয়ার পরিবর্তে পেশিশক্তি ব্যবহার করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে ওই জমিতে নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা করে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সবশেষ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যখন গত ২৯.০৪.২৫ তারিখে জমিতে নির্মাণ কাজ করতে যায়, তখন মজিবর গং আগের মতো নারী-পুরুষ একযোগে লাঠিসোঁটা এবং ইট-পাটকেল নিয়ে নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায় এবং সেখানে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

সংবাদ সম্মেলনে তারা আরও বলেন, সিটি জরিপ অনুযায়ী মাদরাসার নামে ওই জমির সব কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের হাতে থাকাসহ ২০২৫ সাল পর্যন্ত জমির খাজনাদিও পরিশোধ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মজিবর গং বৈধ কোনো কাগজপত্র ছাড়াই জমিটি দখল করে নেওয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে বারবার। জমিটি যে মাদরাসার নামে কেনা, সে ব্যাপারে এলাকাবাসীও অবগত রয়েছে।

গত ২৯.০৪.২৫ তারিখে নির্মাণ শ্রমিকের ওপর তাদের হামলার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা এবং ঘটনাকে নিজেদের অনুকূলে নেওয়ার জন্য চক্রটি থানায় গিয়ে মিথ্যা মামলা করে বলে অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে লাঠিসোঁটা নিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা করেছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

মাদরাসাটির মুহতামিম দেশের প্রখ্যাত আলেমে দীন শাইখুল হাদিস মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমরা জনগণের অর্থে অল্প এই জায়গাটি কিনেছি। মাদরাসায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় কেনা জায়গায় ঘর নির্মাণ করতে চাচ্ছি। কিন্তু তারা বারবার বাধা দিচ্ছে। কুরআন-হাদিসপড়ুয়া ছাত্রদের আবাসনের স্বার্থে আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

এনএইচ/