ডেঙ্গু হলে কী করবেন
প্রকাশ:
০৪ মে, ২০২৫, ০৫:০৭ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান || বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বর শুধু রাজধানীবাসীর উদ্বেগের কারণ নয়। এই উদ্বেগ ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে। বাংলাদেশে এমন কোনো জেলা নেই যেখানে ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়নি। ইদানিং ডেঙ্গু জ্বরে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। কিছুদিন আগেও কেবল বর্ষা মৌসুমেই হতো এ রোগের বিস্তার। সময় বদলেছে। এখন সারা বছরই সারা দেশের জন্য ডেঙ্গু এক মূর্তিমান আতংক। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ জ্বর হলেই সেটা যে ডেঙ্গু হবে এমন নয়। তবে জ্বরই এ রোগের মূল লক্ষণ এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই। ডেঙ্গু জ্বরের তাপমাত্রা ১০১-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। মাঝে মাঝে ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়তেও পারে। কিংবা জ্বর একটানা চলতে পারে ৩-৭ দিন পর্যন্ত। ৭ দিন পর জ্বর কমে স্বল্প বিরতি দিয়ে আবারও জ্বর আসা অসম্ভব নয়। এর সাথে প্রচন্ড শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা থাকতে পারে। হাড় এবং জয়েন্টে তীব্র ব্যথা হলেই বুঝবেন আপনি ব্রেকবোন ফিভার বা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। অনেকের ডেঙ্গুর ট্রিপিক্যাল রাশ বের হয় জ্বরের ৬ষ্ঠ দিনে। রক্তক্ষরণও হতে পারে কারও কারও। ডেঙ্গু জ্বরে খাদ্য গ্রহণে অনিহার পাশাপাশি পানি পানের ব্যাপারেও অনিহা সৃষ্টি হয়। এরই সাথে দেখা দিতে পারে বমি বমি ভাব ও বমি। কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগীর ডায়রিয়ার প্রকোপও দেখা দেয়। স্বভাবতই ডায়রিয়ার কারণে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। ডিহাইড্রেশন ডেঙ্গু রোগীর জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এতে শরীর দুর্বল ও ক্লান্তি প্রকট হয়ে উঠে। অনেকের কমে যেতে পারে প্লাটিলেট। ডেঙ্গু হলে করণীয় ডেঙ্গু জ্বর হলে ওষুধ সেবনের চেয়ে বিশ্রাম নেয়াটাই জরুরি। ডিহাইড্রেশন যাতে না হয় এসময় পর্যাপ্ত পানিও পান করতে হবে। রোগীকে খাওয়াতে হবে ডাবের পানি, ফলের জুস, খাবার স্যালাইন জাতীয় তরল খাবার । মনে রাখবেন, ডেঙ্গু জ্বরের কার্যকর কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষেধক নেই। সময় মতো সঠিক চিকিৎসা, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, পানি এবং তরল খাবার গ্রহণ করলেই এ রোগ থেকে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব। ডেঙ্গু জ্বর হলে সারা শরীরে, বিশেষ করে হাড় ও জয়েন্টে প্রচন্ড ব্যথা হয়। ব্যথা থাকলেও ডেঙ্গু জ্বরে অ্যাসপিরিনসহ ব্যথার ওষুধ বর্জন করা উচিত। এসময় বিরত থাকা উচিত শারিরীক পরিশ্র্ম থেকেও। প্লাটিলেট যাতে আশংকাজনক কমে না যায় সেদিকেও লক্ষ রাখুন । পাশাপাশি রাশ, রক্তক্ষরণ, ডিহাইড্রেশন বা অন্য কোনো সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এমএইচ/ |