নোট ও গাইড নির্ভর আলেম হওয়া যাবে না: মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন
প্রকাশ: ১৩ মে, ২০২৫, ০১:১২ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

নোট ও গাইড নির্ভর আলেম হওয়া যাবে না, বরং কওমি মাদরাসার একজন ছাত্রকে পূর্ণাঙ্গ আলেম হতে হবে—এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট আলেম, লেখক ও গবেষক মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন।

গতকাল ১২ মে, সোমবার রাতে ঢাকার চৌধুরীপাড়া শেখ জুনূরুদ্দীন (রহ.) দারুল কুরআন মাদরাসায় মাসিক তরবিয়তি জলসায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “যোগ্য আলেম হতে চাইলে অবশ্যই প্রথমে নাহু ও সরফ শাস্ত্রদ্বয় পূর্ণ আয়ত্তে আনতে হবে। এই দুই শাস্ত্র কিতাবাদি বোঝার বুনিয়াদ। সেক্ষেত্রে মীযান-মুনশাইব, ইলমুস সরফ ও নাহবেমীর—এই তিনটি কিতাব (বা সমমানের কিতাব) অবশ্যই আয়ত্তে আনতে হবে। যাদের এসব কিতাবে দুর্বলতা রয়েছে, তাদের শুরুতেই তা কাটিয়ে উঠতে হবে। উপরের জামাতের ছাত্রদের পক্ষে এটি কঠিন নয়। তারা তো একবার এই কিতাবগুলো পড়েছে, এখন একটু মেহনত করলেই আয়ত্তে আনা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “যোগ্য ও গভীর জ্ঞানসম্পন্ন আলেম হওয়ার জন্য মুতালা করতে হবে ফিকিরের সঙ্গে। বাক্যে বাক্যে নয়, শব্দে শব্দে নয়, হরফে হরফে ফিকির করে মুতালা করতে হবে। ভাসাভাসা মুতালায় ইলমের গভীরতা আসে না। গভীরতা আসে ফিকিরের সাথে মুতালার মাধ্যমে। আর কেউ যদি গভীর জ্ঞানসম্পন্ন না হন, তাহলে তিনি যোগ্য আলেম হতে পারেন না।”

তিনি বলেন, “দরসি কিতাবাদি যেহেতু ইলমের হাতিয়ার, তাই এসব বুঝার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা চলবে না। যোগ্য আলেম হতে হলে এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে চলতে হবে—কোনো সবক অস্পষ্ট রেখে অগ্রসর হওয়া যাবে না। যতক্ষণ না সবকটি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে, ততক্ষণ তা আয়ত্তে আনার মেহনত চালিয়ে যেতে হবে। ছাত্রদের মনে রাখতে হবে, ইলম হচ্ছে ইনশিরাহ—পরিষ্কারভাবে জানার নাম। যতক্ষণ কোনো বিষয় পরিষ্কারভাবে জানা না যাবে, ততক্ষণ তা ইলম নয়; বরং তা এক ধরনের জাহালত বা অজ্ঞতা। শিক্ষা জীবনের প্রাথমিক দিকগুলোতে অজ্ঞতা রেখে বিজ্ঞতা অর্জনের আশা করা যায় না।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদরাসার মুহতামিম ও শায়খুল হাদীস মাওলানা মাহফুজুল হক কাসেমী। উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন রাশেদ, নায়েবে মুহতামিম মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, নাজিমে তালিমাত মাওলানা মুসলীম উদ্দিন, মুহাদ্দিস মাওলানা ফখরুল ইসলাম, উস্তাদ মাওলানা এনায়েত কবীর এবং মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব প্রমুখ।

এসএকে/