ইউনূসকে নিয়ে ইসলামপন্থীদের এতো কান্নাকাটির দরকার কী?
প্রকাশ: ২৩ মে, ২০২৫, ১১:৪৯ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

|| ডা. মেহেদী হাসান ||


জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ইসলামপন্থীরা কথা বলার, কাজ করার সুযোগ পেয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহর কাছে এটার জন্য শুকরিয়া আদায় করি। কিন্তু, ৯মাসে ইন্টেরিমের কর্মকাণ্ডে ইসলামপন্থীরা কোনভাবে বেনিফিটেড হইছে? না।

সব সংস্কার কমিশনে বাম ও সেকুলারদের আধিপত্য। সংস্কারের নামে যা হচ্ছে সেটা ইসলামপন্থীদেরকে গর্তে ফেলারই আয়োজন। 

অলরেডি রাখাল রাহারা আল্লাহ ও নবীকে গালি দেবার অধিকার পেয়েছে, তাদের বিচারের ধারা বাতিল হয়েছে। নারী কমিশনসহ আরো কিছু কমিশনে এলজি তথা পশ্চিমা অপসংস্কৃতি ঢুকছে। এনসিটিবি নিয়ে রাখাল রাহাদের দৌরাত্ম নিয়েও আন্দোলন করতে হয়েছে।
এনজিওগ্রাম সরকার পশ্চিমা এনজিও কার্যক্রমকে বেগবান হতে দিয়েছে যারা আল্টিমেটলি ইসলামের বিপক্ষে কাজ করছে। 
অ্যান্ড দ্যা লিস্ট গোজ অন।  

এখন, ড. ইউনূস তো এমনিতেও আর বেশিদিন থাকতে পারবেন না। নির্বাচনে মিরাকল কিছু না হলে বিএনপিই ক্ষমতায় আসবে। বিএনপির আমলে আমরা খুব শান্তিতে থাকবো, সেটাও আশা করছি না যদিও। 

তো, এতো কান্নাকাটির কী আছে? সেনাশাসনের ভয়? সেটা হবার চান্স খুবই কম। আর সেটা হলেও ইসলামপন্থীদের চেয়ে বাকিদের স্টেইক বেশি। 

বাস্তবতা হলো, সেকুলার শাসন ব্যবস্থায় ক্ষমতায় যেই আসুক, ইসলাম আসবে না। মুসলমানদের মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে কুরআনের শাসন তথা শারিয়া প্রতিষ্ঠা করা। সেটা যতদিন না আসবে, ততদিন আমাদের স্ট্রাগল চলতে থাকবে। আল্লাহ পাক এ ভূখণ্ডে শারিয়া কায়েমের যোগ্য কাফেলা এবং যোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করের দিন এবং আমাদের সে কাফেলার কর্মী হবার তৌফিক দিন। আমিন। 

লেখক: চিকিৎসক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট

এমএম/