আবারো কি ধ্বংসের পথে বনী ইসরাইল?
প্রকাশ:
২৫ মে, ২০২৫, ০৮:১০ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, যুগে যুগে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং নবীদের হত্যা করে বনী ইসরাইল ফিতনা-ফাসাদের জন্ম দিয়েছে দুনিয়াজুড়ে। তাদের এই অবাধ্যতার কারণেই বহুবার তারা লাঞ্ছিত ও বিতাড়িত হয়েছে, সম্মুখীন হয়েছে ধ্বংসের। এই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে, যার ইঙ্গিত বহু পূর্বেই পবিত্র কোরআনে দিয়ে গেছেন আল্লাহ তাআলা। পবিত্র কোরআনে সূরা বনী ইসরাইলে মহান আল্লাহ বলেন, “আমি বনী ইসরাইলকে কিতাবে পরিষ্কার বলে দিয়েছি, তোমরা পৃথিবীর বুকে দুবার অনর্থ সৃষ্টি করবে এবং অত্যন্ত বড় ধরনের অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে। অতঃপর যখন প্রতিশ্রুতি সেই প্রথম সময়টি এলো তখন আমি তোমাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করলাম আমার কঠোর যোদ্ধা বান্দাদেরকে। অতঃপর তারা প্রতিটি জনপদের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ল। এ ওয়াদা পূর্ণ হওয়ারই ছিল।” পরে কোরআনের আরেকটি আয়াতে বলা হয়েছে, “অতঃপর আমি তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জন্য যুদ্ধের পালা ঘুরিয়ে বিজয় দিলাম, তোমাদের ধন ও সন্তান-সন্ততি দ্বারা সাহায্য করলাম এবং তোমাদের করলাম সংখ্যাগরিষ্ঠ।” তবে আধুনিক মুফাসসিরদের মতে, কোরআনে বর্ণিত দ্বিতীয় বিপর্যয় এখনো সংঘটিত হয়নি। ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, কিয়ামতের আগে ইমাম মাহাদীর নেতৃত্বে মুসলিমরা জেরুজালেম জয় করবে এবং সেখানেই ঘটবে বনী ইসরাইলের উপর দ্বিতীয় বড় বিপর্যয়। বর্তমান বিশ্বের ঘটনাপ্রবাহ, বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরাইলের আগ্রাসন ও বর্বরতার প্রেক্ষিতে অনেকেই মনে করেন, কোরআনের সেই ভবিষ্যদ্বাণী এখন বাস্তবায়নের পথে। পবিত্র কোরআনের আলোকে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়, আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে বনী ইসরাইলের ফাসাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে যা ঘটছে, তা যেন ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি — যেখানে ধর্ম, আধ্যাত্মিকতা ও ভবিষ্যদ্বাণী একত্রে মিলিত হয়ে একটি ঐশী চক্রের চিত্র এঁকে চলেছে। এনএইচ/ |