খাবার খাওয়ার সময় অজান্তেই আমাদের অনেক ভুল হয়ে যায়। বিশেষ করে কোন খাবারের সঙ্গে কোন খাবার খাচ্ছি, সেদিকে নজর থাকে না। ফলস্বরূপ শরীরে ভারসাম্যহীনতাসহ শরীরে নানা রোগের কারণ হতে পারে। কিছু খাদ্য সংমিশ্রণ অন্ত্রের স্বাস্থ্য ব্যাহত করতে পারে।
তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো একসঙ্গে খাবেন না।
ফলের সঙ্গে দুধ
ফলের সঙ্গে দুধ বা দই দিয়ে তৈরি স্মুদি আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা দুধ এবং ফল একত্রিত করার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিচ্ছেন। কারণ দুধ ঠান্ডা এবং ভারী হলেও, ফল মিষ্টি এবং সামান্য টক (অম্লীয়) হয়। এই সংমিশ্রণ অনেক সময় হজমকে ধীর করে দিতে পারে। এগুলো একসঙ্গে খেলে শরীরের হজম শক্তি ব্যাহত হতে পারে। ফলে পেট ফাঁপা, সাইনাস কনজেশন এবং টক্সিন জমা হয়। ধীরে ধীরে এটি সংমিশ্রণ ত্বকের সমস্যা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে।
মধুর সঙ্গে গরম পানি দুধ
যদিও মধু, গরম পানি, গরম দুধ আলাদাভাবে খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী, তবে গরম পানি বা গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়া ঠিক না। কারণ মধু রান্না করা হলে বা এর তাপমাত্রা বৃদ্ধি করা হলে সেটি টক্সিক হয়ে ওঠতে পারে।
ঘি এবং মধু সমান পরিমাণে
ঘি এবং মধু উভয়ই ঔষুধি গুণ সম্পন্ন। কিন্তু এগুলো সমান পরিমাণে মিশ্রিত করা হলে বিষাক্ত প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। মধুর একটি উত্তপ্ত গুণ রয়েছে, অপরদিকে ঘি শীতল করে। তাই এই দুই খাবারের ভারসাম্য রাখা উচিত। সম পরিমাণে খেলে এই মিশ্রণটি হজম এবং বিপাককে ব্যাহত করতে পারে। তবে অসম পরিমাণে ঘি এবং মধু একসঙ্গে খাওয়া ক্ষতিকর নয়।
দুধের সঙ্গে মাছ বা মুরগি
দুধ, মুরগি এবং মাছ সবই পুষ্টিকর খাবার। কিন্তু এগুলো একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়। কারণ দুধ প্রকৃতিতে শীতল, মুরগি এবং মাছ লবণাক্ত ও উত্তপ্ত করে। তাই এগুলো একসঙ্গে খেলে হজমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে এবং শরীরে বিষাক্ত পদার্থ তৈরি হতে পারে। নিয়মিত এভাবে খেলে তা ধীরে ধীরে একজিমা বা সোরিয়াসিসের মতো ত্বকের রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
পানির সঙ্গে ফল
সকালে খালি পেটে এবং খাবারের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে বা পরে হলো ফল খাওয়া আদর্শ সময়। কারণ ফল দ্রুত হজম হয়, অন্যদিকে অন্যান্য খাবার (বিশেষ করে শস্য, প্রোটিন, বা দুগ্ধজাত) বেশি সময় নেয়। এগুলো একসঙ্গে খেলে পেটে ফল গাঁজন হয়, যার ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা বদহজম হয়। এটি বিষাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে এবং পুষ্টির শোষণ কমিয়ে দেয়।
এনএইচ/