পশুর যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি হবে না
প্রকাশ:
২৮ মে, ২০২৫, ০৮:৩৭ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
||||||||||||
![]()
নাজমুল হাসান। কোরবানি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত—যার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা হয়। সামর্থ্যবান প্রতিটি ঈমানদারের ওপর এটি ওয়াজিব। তবে অনেক সময় পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে অজান্তে এমন পশু কোরবানি করা হয়, যার দেহে শরিয়তে বর্ণিত দোষ বা ত্রুটি বিদ্যমান। ফলে সে কোরবানি শুদ্ধ হয় না বা মাকরূহ হয়ে পড়ে। তাই কোরবানির পশু নির্বাচন করার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক লক্ষ রাখা জরুরি। কোরবানিযোগ্য পশুশরিয়তের দৃষ্টিতে নিম্নোক্ত ছয় প্রকার পশু দ্বারা কোরবানি বৈধ:
তবে এগুলো অবশ্যই ত্রুটিমুক্ত ও সুস্থ-সবল হতে হবে। যেসব পশুর কোরবানি সহিহ হবে না (নিষিদ্ধ চারটি ত্রুটি)রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিসে চার প্রকার দৃষ্টিগোচর ত্রুটিযুক্ত পশুকে কোরবানির জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। হজরত বারা (রা.)-এর বর্ণনায় এসেছে:
(সূত্র: নাসাঈ) কোরবানিযোগ্য হলেও অপছন্দনীয় (মাকরূহ) পশুর ধরনকিছু পশু রয়েছে, যেগুলোর ত্রুটি খুব গুরুতর না হলেও শরিয়তে তা অপছন্দনীয় বা মাকরূহ বিবেচিত হয়েছে। যেমন:
এসব পশু দিয়ে কোরবানি করলে তা সহিহ হলেও সাওয়াব কমে যায় এবং তা পরিত্যাগ করাই উত্তম। কোরবানির জন্য একেবারেই নিষিদ্ধ পশুর দৃষ্টান্তহাদিসে আরও কিছু নির্দিষ্ট দোষ-ত্রুটি উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলোর কারণে কোরবানি একেবারেই বৈধ নয়। যেমন:
বনজ বা জংলি প্রাণীর কোরবানি
কোরবানির পশু নির্বাচনে নবিজীর নির্দেশনা
কোরবানি শুধুই একটি পশু জবাই নয়; বরং এটি আল্লাহর দরবারে ইবাদতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রূপ। তাই কোরবানির পশু নির্বাচনের ক্ষেত্রে হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী সচেতন থাকা অপরিহার্য। এনইচ/ |