সৌদি আরবে ২৪ শতাংশ প্রবাসী বাংলাদেশি আত্মহত্যা করছেন , কারণ কী?
প্রকাশ:
৩০ মে, ২০২৫, ০২:৩১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
গত বছরে বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকদের মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড ছুঁয়েছে। ওই বছর ৪,৮১৩ জন অভিবাসীর মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৫.৭% বেশি। এ তথ্য প্রকাশ করেছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (আরএমএমআরইউ)। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘‘প্রবাসে মৃত শ্রমিকদের মর্যাদা ও অধিকার নিশ্চিতকরণ’’ শীর্ষক সংলাপে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, ‘‘এতো তরুণ মানুষ কেন মারা যাচ্ছে? সরকারের উচিত প্রতিটি মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে পোস্টমর্টেম নিশ্চিত করা। কিন্তু বর্তমানে তা করা হচ্ছে না।’’ মৃতদের গড় বয়স মাত্র ৩৮ বছর : মৃত্যুর কারণ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও অবিশ্বাস : গবেষণায় দেখা যায়, প্রবাসী মৃত্যুর ৬৯%-কে ‘স্বাভাবিক’ এবং ৩১%-কে ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, সৌদি আরবে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি — ২৪%। একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো—প্রায় ৪৮% পরিবারের সদস্য বিশ্বাস করেন না যে মৃত্যুর সনদে উল্লেখিত কারণটি সঠিক। ঢাকা বিমানবন্দরে মরদেহ গ্রহণে অসম্মানজনক আচরণ : সংলাপে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ঢাকার বিমানবন্দরে প্রবাসী মৃতদেহগুলো গ্রহণের সময় অনেক সময় মর্যাদাহীন ও অমানবিক আচরণ করা হয়। অধিকাংশ পরিবারকে মৃত্যুর কাগজপত্র সংগ্রহে নানা ধরনের জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়—প্রায় ৮০% পরিবার এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ‘কেন এত মানুষ, বিশেষ করে এত তরুণ, অল্প সময়েই বিদেশে গিয়ে মারা যাচ্ছেন—এই প্রশ্নের উত্তর আমরা পাচ্ছি না," বলেন তাসনিম সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর কারণ নিরূপণের জন্য যথাযথ তদন্ত ও সম্মানজনক ব্যবস্থাপনা ছাড়া এই সংকটের সমাধান সম্ভব নয়। এই প্রতিবেদনটি প্রবাসী শ্রমিকদের জীবন ও মৃত্যুর গল্প তুলে ধরছে—যাদের পরিশ্রমে দেশের অর্থনীতি সচল থাকে, অথচ তাদের মৃত্যুর পরও অনেক সময় সম্মানটুকু নিশ্চিত হয় না। এখনই সময়, রাষ্ট্র ও সমাজের পক্ষ থেকে প্রবাসীদের অধিকারের বিষয়ে আরও সংবেদনশীল হওয়ার। এসএকে/ |