আওয়ার ইসলামের বিতর্ক প্রতিযোগিতা- প্রতিভা বিকাশের উজ্জ্বল প্লাটফর্ম
প্রকাশ:
২৭ জুন, ২০২৫, ০৫:৫৭ বিকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| কাজী যিমাম আহমাদ || বিতর্ক মানে শুধু কিছু শব্দ নিক্ষেপ নয়। বিতর্ক মানে নিজ চিন্তাকে শাণিত করা, ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বুদ্ধির আলোকে নিজের চিন্তা উপস্থাপন করা। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি ও বাস্তবায়ন। বর্তমান সময়ে যুগোপযোগী, তুমুল আলোচিত একটি বিষয়। স্বীকৃতি নিয়ে বিভিন্ন মতামত থাকলেও এর কিছু ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক রয়েছে, এই ব্যাপারে সম্ভবত সকলেই একমত। ২৬ জুন ( বৃহস্পতিবার ) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এক চমৎকার অনুষ্ঠান। আওয়ার ইসলাম আয়োজিত 'জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা- ২০২৫'। এটি ছিল একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান। এতো সুন্দর একটি আয়োজনের জন্য আওয়ার ইসলাম পরিবারকে জানাই ধন্যবাদ। ব্যক্তিগতভাবে অনুষ্ঠান সম্পর্কে আবার অনুভূতি হলো- এটি ছিল যুক্তির জ্বলন্ত প্রদীপ, চিন্তার উত্তাল তরঙ্গ এবং নতুন প্রজন্মের আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠস্বরের এক গৌরবোজ্জ্বল উপস্থাপন। পক্ষ ও বিপক্ষ—উভয় দলের বক্তব্য শুনে বোঝা গেছে, উভয়পক্ষই দেশ, শিক্ষা এবং ইসলামি মূল্যবোধকে কেন্দ্র করেই কথা বলেছে। কেউ স্বীকৃতিকে সম্ভাবনা হিসেবে দেখেছেন, আবার কেউ সেটিকে ভবিষ্যৎ ঝুঁকির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সবচেয়ে প্রশংসনীয় ছিল, কোনো পক্ষেই অসহিষ্ণুতা বা অপমান ছিল না। বরং ছিল একে অপরের চিন্তা শ্রদ্ধার সাথে শোনার মনোভাব, যা একটি সুস্থ বিতর্ক সংস্কৃতির নিদর্শন। এই বিতর্ক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বীকৃতির বিভিন্ন ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক উঠে এসেছে। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও এই বিতর্ক দেখে ভবিষ্যতে এই ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছি সর্বশেষ আওয়ার ইসলামের কাছে আমার অনুরোধ থাকবে—এই জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা যেন চলমান থাকে। কারণ, এটি আমাদের প্রতিভা বিকাশে সহায়ক হবে। আর আজকের তার্কিকই হতে পারেন আগামীর নীতিনির্ধারক, সমাজ সংস্কারক ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের প্রস্তুতি-মঞ্চ। লেখক: শিক্ষার্থী, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ ঢাকা এমএম/ |