মার্কিন দূতাবাসে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের চিঠি, শুল্ক কমানোয় ধন্যবাদ
প্রকাশ:
০২ আগস্ট, ২০২৫, ০৯:৫৬ রাত
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকাস্থ মার্কিন দুতাবাসে প্রেরিত এক চিঠিতে বাংলাদেশের ওপরে আরোপিত শুল্কহার হ্রাস করায় মার্কিন নীতি নির্ধারক ও রাষ্ট্রপতির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরের নির্দেশনায় দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ; ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনকে লেখা এক চিঠিতে বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী কর্মী, বিশেষ করে পোশাক ও বস্ত্র খাতের নারীদের উপকৃত করবে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে "এই সুচিন্তিত সিদ্ধান্তটি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে, যখন অনিশ্চয়তা, সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাঘাত এবং মহামারী পরবর্তী পুনরুদ্ধারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। যে সময় বাংলাদেশ একটি দীর্ঘায়িত স্বৈরশাসনের কবল থেকে মুক্ত হয়ে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে, ভঙ্গুর অর্থনীতি উদ্ধারে কাজ করছে। চিঠিতে বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের মধ্যদিয়ে "বাণিজ্য বাধা দূর করার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে, দেশের নিম্ন আয়ের নাগরিকদের জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করেছে এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় অবদান রেখেছে। চিঠিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আরও শুল্ক হ্রাস এবং তৈরি পোশাক, বস্ত্র, কৃষি পণ্য এবং হালাল-প্রত্যয়িত পণ্যসহ বাংলাদেশী পণ্যের জন্য বৃহত্তর বাজার সুবিধা বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছে। ইসলামী আন্দোলন জোর দিয়ে বলেছে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে, সরবরাহ শৃঙ্খলের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করবে এবং বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে, পারস্পরিকভাবে উপকারী দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে গঠনমূলক সম্পৃক্ততার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে এবং আশা প্রকাশ করছে যে, এই ইতিবাচক ধারা বাংলাদেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করবে। এমএম/ |