মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬


শ্রীপুরে কবর জিয়ারত না করায় ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে চাকরিচ্যুত


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার সন্নিকটে অবস্থিত বায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে অন্যায় আচরণ এবং চাকরিচ্যুতির অভিযোগ উঠেছে।

রমজানের শেষ দিকে, শনিবার আসরের নামাজের পর মসজিদের মুতাওয়াল্লী গিয়াসউদ্দিন মেম্বার মুয়াজ্জিন জুনায়েদ আহমাদকে কবর জিয়ারত না করায় তীব্র রাগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ধমক দেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করা হয়নি।

মুয়াজ্জিন জানান, মুতাওয়াল্লী তাকে সরাসরি কবর জিয়ারতের কোনো নির্দেশনা দেননি। আগের দিন, শুক্রবার আসরের নামাজের আগে মুতাওয়াল্লী শুধু ইমামের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি হয়তো ইমামের কাছে কবর জিয়ারতের কথা বলেছিলেন, কিন্তু মুয়াজ্জিন এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না।

রমজানের ২৭তম রাত তারাবির পর আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম (সভাপতি, শ্রীপুর পৌর শ্রমিক লীগ) এবং দুলাল (সাধারণ সম্পাদক, ৮নং ওয়ার্ড, শ্রীপুর পৌরসভা) মসজিদে এসে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা মুয়াজ্জিনকে চাকরিচ্যুত করার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। মসজিদ কমিটির সেক্রেটারির ছেলে যখন আপত্তি জানান, তখন দুলাল তাকে মারতে উদ্যত হন।

কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়াই পরদিন ফজরের পর মুয়াজ্জিন জুনায়েদ আহমাদকে চাকরিচ্যুত করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, মুতাওয়াল্লী পূর্বের মুয়াজ্জিনকে ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে, আগের মুয়াজ্জিনকে তিনি "ছেলের মতো" মনে করেন এবং তাকেই পুনরায় নিয়োগ দিতে চান।

স্থানীয় মুসল্লিদের মতে, বরখাস্ত হওয়া মুয়াজ্জিন জুনায়েদ আহমাদ ছিলেন দায়িত্ববান ও সদাচারী, এবং তার ব্যবহার মুসল্লিদের মন জয় করেছিল। অন্যদিকে, আগের মুয়াজ্জিনের প্রতি মুসল্লিদের ক্ষোভ রয়েছে।

এদিকে, মসজিদের ইমামকেও চাকরিচ্যুত করার পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গেছে। যেকোনো সময় তাকেও বহিষ্কার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা মসজিদ কমিটির স্বেচ্ছাচারিতার নিন্দা জানিয়েছেন এবং ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর