মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১ জিলকদ ১৪৪৬


জিকির ও আত্মশুদ্ধি উভয়টাই করতে হবে : মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মোহাম্মাদ হুজাইফা ||

আত্মার রোগের চিকিৎসার জন্য বেশি বেশি যিকির করা জরুরী। যিকর লাগবে, যিকরের অনেক ফায়দা। কিন্তু শুধু যিকর দ্বারা অনেকের আত্মার রোগ ভালো হয় না। আত্মার রোগের চিকিৎসার জন্য যিকরও করতে হবে, সাথে সাথে নিজের মুরব্বী, উস্তাদ, শায়খ ও পীর যিনি আছেন; তার কাছে নিজেকে সোপর্দ করতে হবে। তিনি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন, রোগ চিহ্নিত করবেন। এরপর তাঁর বাতানো পদ্ধতি অনুযায়ী রিয়াজত মোজাহাদা করতে হবে।

মুফতি শফী রহ. বলেছেন, যদি আত্মিক রোগের চিকিৎসা না হয়, কিবরের (অহংকার) চিকিৎসা না হয়, হাসাদের (হিংসা) চিকিৎসা না হয়, দুনিয়ার লোভ-লালসার চিকিৎসা না হয়; আর কেবল বেশি বেশি যিকর চলতে থাকে, তাহলে শুধু এই যিকর দ্বারা ব্যক্তির অহংকার আরো বাড়তে পারে। অহংকার আগে যা ছিল, যিকর করার কারণে তার মাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে!

মনে হতে পারে, আমি তো আল্লাহওয়ালা হয়ে গেছি। আমি তো পীর বনে গেছি। অনেক নূর দেখি। যা স্বপ্ন দেখি তা ফলে যায়। অন্যরা কোথায়! আমি কোথায়! 

আগে তো নিজেকে টাকায়-ক্ষমতায় বড় মনে করত। এখন সবচেয়ে বড় আল্লাহওয়ালা মনে হচ্ছে বেশি বেশি যিকর করার কারণে। যিকরের কারণে অহংকার টাকার অহংকারের চেয়ে মারাত্মক!

বুযুর্গদের কথা! কী তাৎপর্যপূর্ণ! একদম বাস্তব কথা। মুরীদ হওয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে তরবিয়ত ও ইসলাহে নফস। আত্মার শুদ্ধি হওয়া, মার্জিত হওয়া, সুবোধ তৈরি করা, সাদা দিলের মানুষ হওয়া, ঈমানি ইয়াকিন হাসিল হওয়া। এই ইসলাহে নফস না করে শুধু যিকর দ্বারা তাযকিয়া ও তাসাউফ অর্জন হয় না।

হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলি থানভি ও অন্যান্য বুযুর্গ আলেমগণও মানুষদেরকে এই উপদেশ দিতেন।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর