শনিবার, ৩১ মে ২০২৫ ।। ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৪ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
নোয়াখালীতে পানি নিষ্কাশন বিরোধে প্রাণ গেল বৃদ্ধার কওমী ছাত্রপরিষদের উদ্যোগে ১ম জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন ইসলামী যুব আন্দোলন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মাসিক বৈঠক দেওবন্দ আন্দোলন: ঈমানদীপ্ত এক সংগ্রামী চেতনার নাম দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যুব জমিয়ত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মুগদা থানা শাখা পুনর্গঠন লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত গাজার ৭ লাখ ৮৫ হাজার স্কুলশিক্ষার্থী সৌদি পৌঁছেছেন ৮০ হাজার ৭২৩ হজযাত্রী, কাল শেষ হচ্ছে ফ্লাইট নিজ এলাকায় স্বল্পমূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করলেন জমিয়ত মহাসচিব নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্রের লাশ মিলল পুকুরে

‘বিনা দোষে’ ১১ বছর কারাভোগ, অবশেষে মুক্ত মাওলানা আকবার হুসাইন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দেশের ঐতিহ্যবাহী দীনি প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম মাদানীনগর মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আকবার হুসাইন অবশেষে কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছেন। প্রায় ১১ বছর কারাভোগের পর তিনি বুধবার (২৮ মে) মুক্তি লাভ করেন। 

আলোচিত রমনা বটমূলের মামলায় মাওলানা আকবার হুসাইনকে আসামি করা হয়েছিল। তাঁর পরিবার, ছাত্র এবং ভক্ত-অনুরাগীরা জানান, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। বিনা দোষে তিনি ১১ বছরের বেশি সময় কারাভোগ করেছেন। 

মাওলানা আকবার হুসাইন মাদানীনগর মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ও মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনি এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইদ্রিস রহ.-এর জামাতা। ২০১৪ সালে তাঁকে হঠাৎ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলার ঘটনার মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়।

সেই মামলায় তাঁর ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছিল আদালত। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ সুগম হয়। উচ্চ আদালতের রায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যেহেতু তিনি ইতোমধ্যে এই পরিমাণ কারাভোগ করেছেন এজন্য মুক্তি লাভ করেছেন।  

সূত্র জানায়, ২০১৪ সালে রাজধানীর কাকরাইল মোড় থেকে মাওলানা আকবার হুসাইনসহ চারজনকে কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের ছয় মাসের মাথায় সবাই ছাড়া পেলেও আকবার হুসাইনকে রমনা বটমূলের বোমা হামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
 
জানা যায়, তিনি মূলত ষড়যন্ত্রের শিকার। রমনা বটমূলের ঘটনার সঙ্গে তাঁর দূরতম কোনো সম্পর্কও নেই। চেনা-পরিচিত কেউ একজন পুলিশের মাধ্যমে তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এর সঙ্গে জড়িয়ে দেন। 

এদিকে বুধবার (২৮ মে) মাওলানা আকবার হুসাইন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁর স্বজন, ছাত্র ও ভক্তদের মধ্যে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর এই মুক্তির জন্য শোকরিয়া আদায় করেন। আর কোনো নিরীহ আলেম যেন এভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার না হন সেই প্রত্যাশা করেন সবাই।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ