বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫ ।। ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ২০ সফর ১৪৪৭

শিরোনাম :
ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন নিশ্চিতে সতর্ক থাকতে হবে : শামসুজ্জামান দুদু যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক অবরোধ, ঢাকা-উত্তরবঙ্গ সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আশুলিয়ায় বেতন দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ রাতভর অভিযানে সাদাপাথরে ফেরানো হলো ১২ হাজার ঘনফুট জব্দকৃত পাথর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অনুমোদনবিহীন কর্মসূচিতে আইনি ব্যবস্থা দেশের সব সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত ভারতকে কঠোর হুঁশিয়ারি: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুরু হলো তিন দিনের হজ ও ওমরাহ ফেয়ার চাঁদপুরের ৫ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী যারা এজেন্সি মালিক বিড়ি নিয়ে সৌদি যান, স্বর্ণ এনে ধরা খান: ধর্ম উপদেষ্টা

বৃষ্টি ভেজার দিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

যাকারিয়া মাহমুদ ।। 

বৃষ্টি ভেজার প্রথম দিন । আমি তখন ছোট। নরম গায়ে কোমল বৃষ্টির ছোঁয়া। কোমল সেই অনুভূতি। আমি কখনোই ভুলতে পারিনি। ভুলতে চাইও না। ভালোলাগে সেই স্মৃতি। অনুভূতি। খুব ভালোবাসি সেই দিনটিকে।

সেদিন চারদিকে যখন শীতল হাওয়ার ছড়াছড়ি। মাথার উপর ঘন, কালো, বিস্তৃত মেঘরাশি। ভর-দুপুরেও নেমে এলো সন্ধ্যার আঁধার । আমি তখন আনন্দে আত্মহারা । আম্মার চোখ ফাঁকি দিয়ে ছুটে যাই কড়ইতলায়। আমাদের বাড়ির কাছেই।

কড়ইতলায় বহু মানুষের ভিড়। ছোটদের ছোটাছুটি। এখানে-ওখানে বড়দের গল্পের আসর।

আমি ছুটে চলি ঘাসফড়িং আর প্রজাপতির পিছু পিছু। যখন ওদের ধরতে যাই, ওরা উড়ে যায়। বাতাসে ডানা মেলে। কখনো-বা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আমার হাত ওদের ধরতে পায় না। তবু সুখ খোঁজে পাই সেই পিছু ছোটায়।

ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু। অনেকেই দৌঁড়ে ওঠে ঘরে। ভেজার ইচ্ছে নেই তাদের। আমি ভিজি আপন মনে। আমার সঙ্গে আরও ছেলেমেয়ে। সবাই সমবয়সী। আমরা হাসি, খেলি, ভিজি। সবাই মিলে । একসঙ্গে। বড়রা ভেজে ভিন্ন দলে।

বৃষ্টি পড়ে রিমঝিম। ঝুমূর-ঝুমূর। টিনের চাল গড়িয়ে আসে বৃষ্টির স্বচ্ছ জল। একসঙ্গে অনেকগুলো ঝরনার মতো। আমরা তার নিচে খুশি মনে ভিজি। লাফিয়ে লাফিয়ে। দাঁড়িয়ে। বসে।

কাদামাটিতে পিছলে খাই। একজন "ধপাশ" করে পড়ে গেলে, খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে সবাই। দুষ্টমি করি। কাদা-পানি ছুড়ে দিই একে-অপরের গায়ে। এ নিয়ে ঝগড়াও হয়। খানিক পরেই মিটে যায় সব রাগ-অভিমান।

এদিকে বূষ্টিতে ভেজার সুখ। ওদিকে ঘরে ফেরার তাড়া। এতক্ষণে নিশ্চই খোঁজে ফিরছেন মা।

পা টিপে টিপে ঘরে ফিরি। বাড়তে থাকে বুকের ধুকপুকানী। কোনোরকমে আম্মার চোখ এড়াতে পারলেই হয়। পারি না । ব্যর্থ হই। দৌড়ে লুকোই আপার পেছনে।

শৈশবে এমন অনেক দিন ছিল। সুখে ভরপুর সেই দিনগুলো, স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে আজও। হৃদয়ে খুব ইচ্ছে জাগে। যদি ফিরে যাওয়া যেত সেই সুখ- শৈশবে!

লেখক : শিক্ষার্থী, মারকাযুল মাআরিফ আল ইসলামিয়া, উত্তর বাড্ডা,ঢাকা-১২১২। 

এমআর/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ