শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরকে ধরে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা ভাঙ্গায় ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  ‘আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দূর করতে সিরাতের বাস্তবায়ন জরুরি’ খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করতে পীর সাহেব চরমোনাইয়ের আহ্বান খুরশিদ আলম কাসেমীর বাবার ইন্তেকাল, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মহাসচিবের শোক ‘অভিভাবকরা স্কুল বাদ দিয়ে কওমি মাদরাসার দিকে ঝুঁকছেন’ চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার

স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন নিদর্শন আল আকসা জামে মসজিদ।

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর এক চমৎকার নিদর্শন হয়ে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রতনপুর বাজারে অবস্থিত ‘আল আকসা জামে মসজিদ’। নয়নাভিরাম এই মসজিদটির নির্মাণ ব্যয় প্রায় ৪ কোটি টাকা। ১২ শতাংশ জমির উপর নির্মিত মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৫৯ ফুট ও প্রস্থ ৫৭ ফুট।

এই মসজিদে একসাথে ১৪টি কাতারে প্রায় এক হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। সুউচ্চ ৩টি মিনার ও একটি বিশাল গম্বুজসহ দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যে নির্মিত এই মসজিদটি যেন আকাশ ছুঁয়ে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা দেয়। বাতাসে ভেসে আসা আজানের ধ্বনি মসজিদ প্রাঙ্গণে সুমধুর পরিবেশ তৈরি করে।

গ্রামের কৃতি সন্তান ও প্রবাসী আলহাজ্ব আরিফুর রহমান ২০১৭ সালে গ্রামের মুসল্লিদের সহযোগিতায় এই মসজিদটির নির্মাণ শুরু করেন। বর্তমানে তিনি মসজিদ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তবে প্রায় সাত বছর পেরিয়ে গেলেও মসজিদের কিছু নির্মাণকাজ এখনো অসম্পূর্ণ—৪টি মিনারের মধ্যে একটি মিনারের কাজসহ আরও কিছু কারিগরি কাজ বাকি রয়েছে।

মসজিদটি নির্মাণের পর থেকেই প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে বহু দর্শনার্থী এটি দেখতে আসছেন। মসজিদের সৌন্দর্য মুগ্ধ করে সকল বয়সের মানুষকে। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, “পুরনো মসজিদটিতে জায়গা সংকুলান হতো না। এখন এই বিশাল ও সুন্দর মসজিদে স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ আদায় করতে পারছি। নবীনগরের মধ্যে এটি অন্যতম দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। মসজিদের নয়নাভিরাম দৃশ্যপট ও কারুকার্য আশেপাশের অন্য কোনো মসজিদে দেখা যায় না।”

মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. জামাল উদ্দিন বলেন, “গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল বড় পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণ করা। আল্লাহর ইচ্ছায় ও সবার প্রচেষ্টায় আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। সড়কের পাশে হওয়ায় অনেকেই মসজিদটি দেখতে আসেন, অনেকে নামাজও পড়েন। বাকিসমূহ কাজ শেষ হলে মসজিদটি পূর্ণতা পাবে ইনশাআল্লাহ।”

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ