শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৯ কার্তিক ১৪৩২ ।। ৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
চান্দিনায় কওমি মাদ্রাসা সংগঠনের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : মাওলানা বোরহান উদ্দিন   বিশ্বের ৪৫০ প্রভাবশালী ইহুদির ইসরায়েলের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আহ্বান মহেশখালীতে মহানবী (সাঃ)-কে অবমাননার অভিযোগে উত্তম কুমার গ্রেফতার ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে সাভারে ইত্তিহাদুল উলামার বিক্ষোভ বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে ছেলের সাথে প্রাণ গেলো বাবার ইসকন নিষিদ্ধসহ সাত দফা দাবীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১০ বিভাগীয় শহরে জামায়াতসহ ৮ দলের বিক্ষোভ শনিবার ইসকন বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত: ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ

৮০০ বছরের ঐতিহ্যের স্মারক যে মসজিদটি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অপরূপ সৌন্দর্যের পুরাকীর্তি নকশায় সাজানো হবিগঞ্জের শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদটি ৮০০ বছর ধরে ঐতিহ্যের স্মারক হয়ে আছে। সৃষ্টির পর থেকে এ মসজিদের কোনো ধরনের সংস্কার হয়নি। প্রত্মতত্ত্ব বিভাগ এটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ায় কোন ধরনের সংস্কার কাজ করতে পারছেন না স্থানীয়রাও। মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা দর্শনার্থীরা।

স্থানীয়রা জানান, সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’র শাসনকালে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে শাহী জামে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। শুরুতে মসজিদের নাম শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ নামকরণ করা হলেও বর্তমানে এর নামকরণ করা হয়েছে উচাইল শাহী জামে মসজিদ।

দূর থেকে দেখলে যে কারও দৃষ্টি কাড়ে ঐতিহ্যবাহী লাল টকটকে এ মসজিদটি। এর চারপাশ ঘিরে রয়েছে কবরস্থান। মসজিদের দক্ষিণে রয়েছে হজরত শাহ জালাল (রহ.) এর সফরসঙ্গী হজরত শাহ মজলিস আমিন (রহ.) এর মাজার। প্রায় প্রতিদিনই এখানে মাজার জিয়ারত ও মসজিদ দেখতে আসেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকজন।

প্রাচীন আমলের নানান কারুকাজে সাজানো রয়েছে এর ভেতর ও বাইরের অংশ। দেয়ালের বিভিন্ন অংশে আরবি হরফে লেখা রয়েছে যা অস্পষ্ট। আর মসজিদের এসব কারুকাজ দেখে যে কারোরই চোখ জুড়িয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরেই মসজিদের কোন সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

প্রকৃতপক্ষে স্থানীয়রা কত বছর পূর্বে এ মসজিদটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তার সঠিক তথ্য জানেন না। মসজিদটির দেয়াল ৫ ফুট প্রশস্ত, রয়েছে ৪টি গম্বুজ, কিন্তু এর কোন মিম্বর নেই। মসজিদের ভেতরে একসাথে মাত্র ৪০ ও বারান্দায় আরো ১০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তে পারে।

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দর্শনার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মসজিদটি সংস্কারের দাবি জানান। তারা মনে করেন প্রাচীন ঐতিহ্য এ মসজিদটি সংস্কারের পাশাপাশি যাতায়াতের সুবিধা নিশ্চিত করা হলে প্রাচীন এ মসজিদটি ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেকের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মসজিদটি এখন সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কার করা হলে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আরো পর্যটকরা আসবে। হবিগঞ্জ থেকে আসা জসিম উদ্দিন জানান, আমি প্রবাসে থাকি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ মসজিদের বিষয়ে জানতে পেরেছি, তাই আজ এসে মসজিদটি বাস্তবে দেখলাম। খুবই সুন্দর ও নান্দনিক।

মসজিদে ৪৫ বছর ধরে ইমামতি করছেন মো. বজলুল হক। তিনি জানান, মসজিদের ইতিহাস কেউই সঠিকভাবে বলতে পারে না। অনেকেই গায়েবি মসজিদ বলে, তবে আমি শুনেছি শাহ আলাউদ্দিন হুসেন শাহর আমলে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। সর্বশেষ এরশাদ সরকারের আমলে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। এরপর আর কোন সংস্কার করা হয়নি। এখন সংস্কারের প্রয়োজন।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম বাদল জানান, মসজিদটি সংস্কার করা প্রয়োজন। সংস্কার করা হলে এর সৌন্দর্যের পাশাপাশি পর্যটকের সংখ্যাও বাড়বে। তিনি বলেন, মসজিদের বাউন্ডারির কাজ বাকি, এছাড়া সামনের অংশে কিছু মেরামত করতে পারলে আরো বেশি বেশি করে দর্শনার্থী আসবে। সূত্র: বাসস

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ