
কালের কণ্ঠের প্রথম পাতার খবর, 'পুরনো মডেলেই করের জাল'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর বাড়তি চাপ আসছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পাশাপাশি অনেক পণ্যে নতুন করে ভ্যাট বসানো হচ্ছে।
ব্যক্তিগত আয়কর স্ল্যাবে কিছুটা পরিবর্তন এনে মধ্যবিত্তের করহার দ্বিগুণ করে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। আগে যেখানে সাত লাখ ২০ হাজার টাকায় কর দিতে হতো আট হাজার টাকা, এখন তা বেড়ে হচ্ছে ১০ হাজার ৫০০ টাকা।
সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব এসেছে। যদিও প্রথমবার রিটার্ন দাখিলকারীদের জন্য ন্যূনতম কর এক হাজার টাকা ধরা হয়েছে।
নানান পণ্যের ওপর বাড়ছে কর ও ভ্যাট, যেমন মোবাইল ফোন, ফ্রিজ, এসি, ব্লেন্ডার, কুকার, এলপিজি সিলিন্ডার ইত্যাদি।
বাড়ি তৈরির খরচও বাড়বে কারণ সিমেন্ট, লিফট ও নির্মাণসামগ্রীর ওপর কর বাড়ানো হচ্ছে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে স্বস্তিও আছে, যেমন আবগারি শুল্কের সীমা বাড়িয়ে এক লাখ থেকে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে, ফলে সাধারণ আমানতকারীরা কিছুটা সুবিধা পাবেন।
এছাড়া কিছু নিত্যপণ্যে উৎস কর কমানো হয়েছে, যেমন চাল, ডাল, তেল ইত্যাদির ওপর।
সব মিলিয়ে বাজেটটি পুরনো কর কাঠামো বজায় রেখে রাজস্ব আদায়ে জোর দিচ্ছে, কিন্তু এতে মধ্যবিত্ত শ্রেণির দৈনন্দিন খরচ ও সঞ্চয়ের ওপর বড় চাপ তৈরি হবে।
জনগণ আশার আলো দেখতে চাইলেও আপাতত তেমন সুখবর নেই।

সংবাদের প্রথম পাতার খবর, 'লঘুচাপ: সাগর উত্তাল, ১৯ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের আট বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি হবে এবং কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকাসহ ছয় বিভাগের অনেক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা পাঁচ জেলায় ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়াবে।
দেশের ১৯ অঞ্চলে বজ্রসহ ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ জায়গায় থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ গভীর হচ্ছে, যার প্রভাবে সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও দমকা বাতাস বইতে পারে।
হাতিয়া এলাকায় মেঘনার উত্তাল স্রোতে নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্কতা হিসেবে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করেছে এবং ছোট নৌকাগুলোকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, রংপুর, দিনাজপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ ১৯ অঞ্চলে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির কারণে ঢাকার কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে। পাহাড়ি জেলা চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সবাজারে ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
সারাদেশে সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে, তাই সবাইকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হতেই হবে'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত এবং এ জন্য দেশবাসী ও তরুণ প্রজন্মকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি ঢাকার নয়াপল্টনে আয়োজিত 'তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ'-এ লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার সময়ক্ষেপণ করছে এবং সংস্কারের আড়ালে নানা উদ্দেশ্য লুকানো রয়েছে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি নতুন ভোটার কোনো জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি, যা তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিন মাসের মধ্যেই নির্বাচন সম্ভব হয়েছে, তাহলে এখন কেন সম্ভব নয়? তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, যারা রাষ্ট্র পরিচালনায় আগ্রহী, তারা যেন পদত্যাগ করে জনগণের সঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেয়।
সমাবেশে বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের হাজারো কর্মী অংশ নেয়, যার ফলে রাজধানীর বড় অংশে যানজট ও জনদুর্ভোগ তৈরি হয়।
অন্যান্য নেতারাও সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্বের অভিযোগ তুলে দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানান। এই কর্মসূচির মাধ্যমে রাজনৈতিক চাপ তৈরির একটি কৌশল নিয়েছে বিএনপি—এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর, 'Election by June next year: Yunus' অর্থাৎ 'আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন: ইউনূস'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপানে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, যেকোনো পরিস্থিতিতেই আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, তা চলমান থাকবে।
তিনি টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ–জাপান সংসদীয় মৈত্রী লিগের সভাপতি তারো আসোর সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, জাপান গত ১০ মাসে বাংলাদেশকে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা দিয়েছে এবং এই সফর মূলত তাদের ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
জাপানের কিছু আইনপ্রণেতা বলেন, ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট ( ইপিএ) সই হলে জাপানি বিনিয়োগ আরও বাড়বে। বাংলাদেশ আশা করছে, আগস্টের মধ্যে আলোচনার কাজ শেষ করে সেপ্টেম্বরেই চুক্তি সই হবে।
মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও জাপানি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন এবং তাদের সহায়তা চান। তিনি জানান, প্রতি বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর জন্ম হচ্ছে, যাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
মাদক পাচারও বাড়ছে, যা নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ইউনূস বলেন, এখনই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের উপযুক্ত সময়। তিনি আইসিডিডিআরবির স্বাস্থ্য গবেষণার জন্যও জাপানের সহায়তা কামনা করেন।

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, 'What public service ordinance means for 1.4m civil servants' অর্থাৎ '১৪ লাখ সরকারি কর্মচারীর জন্য সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের অর্থ কী?'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকার গত ২৫শে মে একটি নতুন আইন জারি করেছে 'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫', যেখানে সরকারি কর্মচারীদের শাস্তির নিয়মে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আগে শাস্তি দেওয়ার আগে তদন্ত, শুনানি ও আপিলের সুযোগ থাকলেও, এখন মাত্র দুই ধাপে সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
অভিযোগ পেলেই কর্মচারীকে সাত দিনের মধ্যে জবাব দিতে হবে। দোষী প্রমাণিত হলে আবার সাত দিনের মধ্যে শাস্তি দেওয়া যাবে—যেমন বদলি, পদাবনতি বা চাকরিচ্যুতি।
এই আইনে তদন্ত কমিটির দরকার নেই, আর প্রেসিডেন্টের দেওয়া শাস্তির বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করার সুযোগও নেই। যদিও আদালতে যাওয়া যাবে, সেটি সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
এ কারণে প্রায় ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে বলছেন, এটি স্বেচ্ছাচারিতা ও ভয় তৈরি করে এমন শাসনের পথ খুলে দিয়েছে।
ধর্মঘট ও প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। সরকার বলছে, আগের নিয়মে শাস্তি দিতে অনেক সময় লাগত, ফলে দোষীরা পার পেয়ে যেত।
তবে আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, এটি মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং শাস্তি পেতে পারে নির্দোষরাও।
আন্দোলনের ভবিষ্যত নির্ভর করছে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফর শেষে সিদ্ধান্তের ওপর।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, 'বাংলা ইংরেজি গণিতে দক্ষতায় বিপর্যয়'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৩ সালে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি ও গণিতে দক্ষতা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
২০১৯ সালের তুলনায় অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফলাফল আশঙ্কাজনকভাবে খারাপ হয়েছে।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণিতে ৪৭ শতাংশ, বিজ্ঞানে ৪৮ শতাংশ, ইংরেজি ও বাংলায় ২২ শতাংশ শিক্ষার্থীর দক্ষতা খারাপ বা খুবই খারাপ পর্যায়ে।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো হলেও তারাও আগের বছরের তুলনায় পিছিয়ে গেছে।
গবেষণা বলছে, করোনা মহামারি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নতুন শিক্ষাক্রম চালু, শিক্ষাবর্ষ বিলম্বে শুরু হওয়া এবং শিক্ষক সংকট এই অবনতির প্রধান কারণ।
অনেক বিদ্যালয়ে গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের উপযুক্ত শিক্ষক না থাকায় অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে, যার ফলে শিখনমান কমছে।
মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে ভালো করেছে এবং শহরের শিক্ষার্থীরা গ্রামাঞ্চলের তুলনায় সব বিষয়ে এগিয়ে।
বিভাগভিত্তিক ফলাফলে খুলনা এগিয়ে, আর সিলেট সবচেয়ে পিছিয়ে আছে। শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শিখন ঘাটতি দূর করতে দ্রুত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
নয়তো শিক্ষার্থীদের মৌলিক বিষয়ের জ্ঞান আরও দুর্বল হয়ে পড়বে, যা ভবিষ্যতের জন্য বড় হুমকি।

নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, 'কারামুক্ত আজহারকে শাহবাগে সংবর্ধনা'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম প্রায় ১৪ বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তির পর শাহবাগে একটি মঞ্চে তাকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়, যেখানে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তৃতা দেন।
আজহার বক্তৃতায় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, আদালতের ন্যায়বিচারের প্রশংসা করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে চলা "জুলুম-নির্যাতন"-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদী সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে এবং এটাকে দেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা হিসেবে অভিহিত করেন।
তিনি শহীদ জামায়াত নেতাদের স্মরণ করেন এবং বলেন, অন্যায়ভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিজেকে একজন স্বাধীন নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলনের জন্য আজীবন কাজ করে যেতে চান।
মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন করা যেন অপরাধে পরিণত হয়েছে এবং ফাঁসির সাজা নিয়ে তিনি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন।

মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, '২৪ দিনে হাজারের বেশি পুশইন'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ চলতি মাসের শুরু থেকে বাংলাদেশে পুশইন শুরু করেছে।
৪ঠা মে থেকে ২৪ দিনের মধ্যে তারা দেশের ১৭টি জেলার সীমান্ত দিয়ে ৯৭৫ জনকে এবং সুন্দরবন হয়ে আরও ৭৮ জনকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে।
বাংলাদেশ এই ঘটনায় চারবার কূটনৈতিকভাবে প্রতিবাদ জানালেও ভারত এখনো কোনো সাড়া দেয়নি। বরং গতকালও নতুন করে সুনামগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ৮২ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, যাদের পুশইন করা হয়েছে, তাদের অনেকেই ভারতে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। কেউ কেউ কারাবন্দিও ছিলেন।
এমনকি, কিছু ব্যক্তির ভারতীয় নাগরিক হওয়ার প্রমাণও মিলেছে। ভারত কোনো আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই এদের পুশইন করছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনাকে আন্তর্জাতিক আইন ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে।
কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধানে চেষ্টার পাশাপাশি বিজিবিও সীমান্তে টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কখনোই পুশব্যাক করে না, তবে যারা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক, তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।
ভারত যেন অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে—বাংলাদেশ সে আহ্বান জানিয়ে গেছে।

সমকালের প্রথম পাতার খবর 'হাসপাতালে লঙ্কাকাণ্ড আহত ১৫, সেবা বন্ধ'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে. ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে আহত ভর্তি রোগীদের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে পাঁচ চিকিৎসকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। বুধবার সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা এই ঘটনায় চিকিৎসা সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন, অনেকে না চিকিৎসা নিয়েই ফিরে যান। শুধু জরুরি বিভাগ খোলা ছিল, অন্য সব সেবা বন্ধ ছিল।
হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ সাত দিনের ছুটিতে যান এবং নিরাপত্তার কথা বলে হাসপাতাল বন্ধের সুপারিশ করেন।
সংঘর্ষের পেছনে কারণ ছিল কিছু ভর্তি রোগীর বিষপান ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা।
কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতির কারণে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে শত শত রোগীর অপারেশন ও চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানান, দুপুরে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জুলাই আন্দোলনের আহতরা অভিযোগ করেন, চিকিৎসা না পেয়ে অবহেলা ও দুর্ব্যবহার সহ্য করতে হচ্ছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু রোগী ছুটি পেলেও হাসপাতাল ছেড়ে যাননি এবং আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন, এতে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
এনএইচ/