সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ।। ১ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২০ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগরের মিডিয়া সেল গঠন ভোলায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ওয়ার্ড সভাপতির কব্জি কর্তন ‘তরুণদেরকে ইসলামি জীবনের দিকে আহ্বান করা বড় প্রয়োজন’ ইসরায়েল সুরক্ষা জোট ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে ব্যর্থ খাগড়াছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী নির্ধারণে মতবিনিময় সভা সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ করলে নেতাকর্মীদের বহিষ্কারের ঘোষণা  নতুন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের ঢেউ ও নেতানিয়াহুর বাড়ি লক্ষ্য করে হামলার খবর নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না: আব্দুর রব ইউসুফি ২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ ঘোষণা করল সৌদি  ইরান থেকে আবার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের দাবি ইসরাইলের

আজকের পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ সব খবর ১৩ জুন ২০২৫

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নির্বাচনের সময় বিচার সংস্কারে প্রাধান্য— দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি।

এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য সফরে থাকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ শুক্রবার লন্ডনে বৈঠকে বসছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। এই ইস্যুতেও পত্রিকাগুলো আজ প্রতিবেদন করেছে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার ইস্যুতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, ঠিক সেই মুহূর্তে বৈঠকটি হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে এ বৈঠক হতে পারে একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এ বৈঠকেই নির্ধারিত হবে আগামীতে বাংলাদেশে রাজনীতির মাঠে সংঘাতের পরিস্থিতি থাকবে নাকি সমঝোতার পরিবেশ বিরাজ করবে।

বিএনপির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা ও তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দু'জনের মধ্যে আলোচনা বড় পরিসরেই হবে, যেখানে নির্বাচনের সময়সূচি আগানো, বিচার-সংস্কার এজেন্ডা, জুলাই সনদ নিয়ে বিএনপির অবস্থান, আওয়ামী লীগের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত, এনসিপির ভবিষ্যৎ, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের সম্মানসহ প্রস্থান এবং তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের মতো বিষয়গুলো থাকবে।

তাতে ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে সাক্ষাৎ চেয়ে অনুরোধ করা হলেও সাড়া দেননি যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এখন লন্ডন সফরে রয়েছেন। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে পাচার হওয়া কয়েক বিলিয়ন ডলার উদ্ধারের প্রচেষ্টায় সমর্থন আদায় করা তার এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য।

ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগের সরকারের আমলে 'চুরি হওয়া' অর্থ খুঁজে বের করতে বাংলাদেশের নতুন সরকারকে সহায়তা করার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের 'নৈতিক দায়বদ্ধতা' উপলব্ধি করা উচিত, কারণ এ অর্থের বড় একটি অংশ এখন যুক্তরাজ্যেই আছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

সমকাল

১২ সংসদের কোনোটির ভোট এপ্রিলে হয়নি— সমকালের প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি।

এতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে ভোটের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তির পাশাপাশি কেউ কেউ ওই সময়ে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে নির্বাচন আয়োজন সম্ভব কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

এদিকে, এর আগে অনুষ্ঠিত ১২ সংসদ নির্বাচনের কোনোটিই এপ্রিলে হয়নি। সর্বোচ্চ তিনটি নির্বাচন হয় ফেব্রুয়ারিতে; জানুয়ারি, মার্চ ও ডিসেম্বরে হয়েছে দুটি করে নির্বাচন। আর মে, জুন ও অক্টোবর হয়েছে একটি করে নির্বাচন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সংসদীয় রাজনীতিতে নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, সংসদে আস্থা ভোটে হেরে গেলে প্রধানমন্ত্রীকে যে কোনো সময়ে নতুন করে সাধারণ নির্বাচন দিতে হয়।

যদিও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। ইতোমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়েছে। এ ব্যবস্থায় নতুন সংসদ গঠনের পর পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে ভোট হবে।

সে হিসাবে পাঁচ বছর পরপর নির্বাচনের সময় কমপক্ষে তিন মাস পিছিয়ে যাবে। এতে যে কোনো মাসেই ভোটের তারিখ পড়তে পারে। যেমন এবার ডিসেম্বরে ভোট হলে পরের সংসদ নির্বাচন হবে এপ্রিলেই।

 

আজকের পত্রিকা

ওড়ার পরই আছড়ে পড়ল ভারতের উড়োজাহাজ— আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার শিরোনাম এটি। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর আজ সব সংবাদপত্র প্রথম পাতায় গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে।

এই খবরে বলা হয়েছে, 'মে ডে' (বিপৎসংকেত) সংকেত পাঠানোর পরপরই রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে; এরপরই আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে আবাসিক এলাকায় আছড়ে পড়ে উড়োজাহাজটি।

এই দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪১ জন যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন। উড়োযানটির মাত্র একজন আরোহী আলৌকিকভাবে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন; বিশ্বাস কুমার (৪০) নামের ওই ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এছাড়া যেখানে উড়োজাহাজ আছড়ে পড়েছে, সেখানকার ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাজ্যগামী দুর্ঘটনা শিকার এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৭১-এ যাত্রীদের মধ্যে ভারতীয় ১৬৯, ব্রিটিশ ৫৩, কানাডীয় এক এবং পর্তুগালের সাত জন নাগরিক ছিলেন।

ভারতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উড্ডয়নের ৩২ সেকেন্ড পর এটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজের একটি ব্ল্যাকবক্স উদ্ধার করা হয়েছে।

দুর্ঘটনার আগে উড়োজাহাজটি ৬২৫ ফুট উপরে উঠে বলেও জানায় সংস্থাটি।

ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে তা ওপরের দিকে উঠতে ব্যর্থ হয় এবং দ্রুত নিচে নেমে আসে। এরপরই উড়োজাহাজটি বিস্ফোরিত হয়ে ভয়াবহ আগুনে পরিণত হয়।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ নির্মাণ নিয়ে সুনাম দীর্ঘদিনের। তবে সম্প্রতি বেশ জটিলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

কারণ, কিছুদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটির ৭৩৭ সিরিজের উড়োজাহাজ নিয়ে বিভিন্ন যান্ত্রিক জটিলতা হচ্ছে এবং প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে ৭৮৭ সিরিজ নিয়ে এমন ঘটনা এই প্রথম।

নয়া দিগন্ত

চীনের অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাছাকাছি আরাকান আর্মি— নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের কৌশলগত শহর কিয়াউকফিউয়ের মাত্র পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে। তাতে বেইজিং ও এ অঞ্চলজুড়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

শহরটিতে চীনের সহায়তায় নির্মাণাধীন গভীর সমুদ্রবন্দর, গ্যাস ও তেলবাহী পাইপলাইন এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, যেগুলো বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

এখান থেকেই চীন মালাক্কা প্রণালীকে পাশ কাটিয়ে সরাসরি ভারত মহাসাগরে প্রবেশের সুযোগ পায়।

আরাকান আর্মি ইতোমধ্যে কিয়াউকফিউ শহরের বাইরের অংশে অবস্থিত ডানিয়াউয়াডি নৌঘাঁটি ও মেড আইল্যান্ডের সংযোগপথের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

জবাবে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী যুদ্ধবিমান, ড্রোন ও যুদ্ধজাহাজ থেকে গোলাবর্ষণ শুরু করেছে। বিশেষ করে চীনা অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলোর আশপাশে সেনা, অস্ত্র এবং রসদ মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করেছে জান্তা সরকার।

আরাকান আর্মির অভিযোগ, চীন মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে অত্যাধুনিক ড্রোন ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। পাশাপাশি চীনের একটি বেসরকারি নিরাপত্তা কোম্পানির সদস্যরা কিয়াউকফিউয়ে অবস্থান নিয়েছে বলেও দাবি করেছে তারা।

প্রথম আলো

এতে বলা হয়েছে, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার যেসব ধনকুবেরকে অভিযুক্ত করেছে, তাদের সঙ্গে আর্থিক সমঝোতায় পৌঁছানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বাংলাদেশ।

সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার কার্যক্রমে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, অপেক্ষাকৃত কম গুরুতর মামলাগুলোর ক্ষেত্রে আর্থিক সমঝোতা 'অন্যতম বিকল্প' হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

এমন সময় তিনি এ ইঙ্গিত দিলেন, যখন গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ৩৪২টি সম্পত্তি (বাড়ি-ফ্ল্যাট) জব্দের কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। এসব সম্পত্তির দাম ১৮৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৩ হাজার ৭১ কোটি টাকার বেশি।

যুক্তরাজ্য সফরের আগে ঢাকায় দেয়া এই সাক্ষাৎকারে গভর্নর বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ পুনরুদ্ধারে ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক মামলা পরিচালনায় তিনি ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করেছেন।

ইত্তেফাক

ইত্তেফাকের প্রথম পাতার সংবাদ— মধ্যপ্রাচ্য থেকে কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

এই খবরে বলা হয়েছে, পরমাণু ইস্যুতে চুক্তি করা নিয়ে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য থেকে কিছু কর্মকর্তাকে সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাতে ইত্তেফাকের প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়তে থাকার কারণে ইরাকের বাগদাদের মার্কিন দূতাবাস থেকে জরুরি নয় এমন কর্মী ও তাদের ওপর নির্ভরশীলদের ইরাক থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইন ও কুয়েতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে যেসব সেনাসদস্য এবং কর্মকর্তা অবস্থান করছেন, তারাও চাইলে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে আসতে পারেন।

হঠাৎ করে কেন দূতাবাস ও সামরিক ঘাঁটি থেকে কর্মীদের আংশিক খালি করতে হচ্ছে সে বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

তবে ইসরাইল ইরানে একটি অভিযান শুরু করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে বুধবার মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি সম্বন্ধে অবগত কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস এ খবর দিয়েছে।

বণিক বার্তা

এই খবরে বলা হয়েছে, ছাত্রদের নেতৃত্বে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় সংস্কারের প্রত্যাশা থাকলেও দৃশ্যমান বড় কোনো সংস্কার এখনও দেখা যায়নি।

বিভিন্ন খাতের সংকট সমাধানে সংস্কার কমিটি গঠন করা হলেও অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষা খাতের সংস্কারে কোনো কমিটি গঠন করেনি।

অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তৎকালীন শিক্ষা উপদেষ্টা দাবি করেছিলেন, উপাচার্য নিয়োগে দলীয় আদর্শ বিবেচনায় না নিয়ে একাডেমিক দক্ষতা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তবে, অন্তর্বর্তী সরকার নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেয়ার পরপরই অভিযোগ ওঠে এ নিয়োগেও দলীয় আদর্শকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত তিন মাসে দায়িত্ব প্রদানের এক বছর পার হওয়ার আগেই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ট্রেজারারকে অব্যাহতি দিতে বাধ্য হয় এ সরকার।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন বলেন, 'সবাই প্রত্যাশা করেছিলাম আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা-গবেষণার সুযোগ নিশ্চিত হবে, দলীয় রাজনীতি থাকবে না, আধিপত্যবাদ, ক্ষমতার অপব্যবহার থাকবে না, শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা পাবে, সর্বোপরি দীর্ঘদিন ধরে যে সংকটগুলো তৈরি হয়েছিল তা দূর হবে। দেয়ালের গ্রাফিতিতেও এসব প্রত্যাশা ফুটে উঠেছিল। তবে ১০ মাস পর যদি প্রত্যাশার বিপরীতে প্রাপ্তির কথা বলি সেটি পুরোপুরি শূন্য।'

দ্য ডেইলি স্টার

Economy to face 7 challenges in FY26, অর্থাৎ আগামী অর্থবছরে ৭টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে অর্থনীতি। ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রথম পাতার খবর এটি।

এই খবরে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে অর্থ মন্ত্রণালয় সাতটি প্রধান চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে রয়েছে কঠোর আর্থিক ও রাজস্ব নীতি, যা উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নেওয়া হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি অনুসারে, চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক শুল্ক আরোপ, নিম্ন কর-জিডিপি অনুপাত, দুর্বল আর্থিক খাত, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরিণতি ও জলবায়ু ঝুঁকি।

এদিকে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির চাপের কারণে সরকার কঠোর আর্থিক ও মুদ্রানীতি গ্রহণ করছে। যা ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি সীমাবদ্ধ পরিবেশ তৈরি করেছে। যার ফলে সুদের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

যদি আগামী কয়েক মাসে মুদ্রাস্ফীতি না কমে, তাহলে বেসরকারি বিনিয়োগ ধীর হতে পারে এবং বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ স্থবির থাকতে পারে।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ