রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির

মাকবারায়ে কাসেমিতে শায়িত হলেন আল্লামা আজমি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাওলাদার জহিরুল ইসলাম
দেওবন্দ থেকে

allama_azmi_kasemiদারুল উলুম দেওবন্দের শায়খে সানী, হজরত হুসাইন আহমদ মাদানি রহ.এর খাস শাগরেদ, মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ.এর খলিফা, মরহুম হজরত আল্লামা আবদুল হক আজমি রহ.-এর নামাযে জনাযা স্থানীয় সময় বেলা দেড়টায় হওয়ার কথা থাকলেও সময় পরিবর্তন করে বিকাল তিনটায় পড়া হয়৷ মরহুম হজরতের বড় সাহেবজাদা ও ক'জন নিটক আত্নীয় আজমগড় থেকে আসতে বিলম্ব হচ্ছিলো৷

বেলা আড়াইটার দিকে মরহুম শায়খের মাগফিরাত কামনায় কদিম দারুল হাদিস ভবনে কুরআন ও কালেমায়ে তাইয়্যেবার খতম করে দোয়া করা হয়৷ এর আগে বর্তমান দারুল হাদিসে সাড়ে ১১টার হজরত আল্লামা সাঈদ আহমদ পালনপুরী (দামাত বারাকাতুহুম) দাওরায়ে হাদিসের সকল ছাত্রকে নিয়ে বিশেষ মোনাজাত করেন৷

বিকাল সোয়া তিনটায় নামাজের সবাইকে কাতারে দাঁড়াতে বলা হয়৷ অমনি হাজার হাজার মুসল্লি দারুল উলুমের কদিম দারুল হাদিস ভবন সংলগ্ন মাঠ, দারুল হাদিস, নওদারা, এহাতায়ে মুলসুরিতে সারিবদ্ধ হতে থাকে৷ নামাজের কাতার সদরগেট ছাড়িয়ে মেহমানখানায় গিয়ে পৌঁছে৷

আশপাশের সকল মাদরাসা, সাহারাপুর মাদরাসাসহ দূর দূরান্ত থেকে মানুষ জানাযার নামাজে শরিক হতে আসে৷

৩টা ৩৫ মিনিটেও অপেক্ষা করা হয়৷ মুহাতামিম সাহেব, আরশাদ মাদানি সাহেব, নায়েবে মুহতামিম সাহেবসহ সবাই জানাযার পাশে তখন উপস্থিত৷
অবশেষে বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে মাওলানা সাইয়্যিদ আরশাদ মাদানি’র ইমামতিতে নামাযে জানাযা শুরু হয়৷

নামাজ শেষে মরহুম শায়খের জানাযার খাটিয়া নিয়ে রওনা করা হয় দেওবন্দের মাকবারায়ে কাসেমির দিকে৷ এসময় প্রচণ্ড ভিড়ের সৃষ্টি হয়৷ সবাই চাচ্ছিলে শায়খের বহনকারী খাটিয়া একটু হবন করে সৌবাগ্যবানদের কাতারে নিজেকেও শামিল করবেন৷ মাদানি গেট হয়ে খাটিয়া বহন করে নিয়ে যাওয়া হয় মাকাবারায়ে কাসেমিতে৷ পরে হাজার হাজার উলামা-তলামা, আমজনতা প্রিয় শায়খকে চির বিদায় জানিয়ে দাফনের কাজে শরিক হয়৷
দাফন কার্য সম্পন্ন হয় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে৷ অতিরিক্ত ভীড় ঠেকাতে দারুল উলুম কর্তৃপক্ষ আগেই সেখানে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছিলেন৷

মহামহিম তাকে জানন্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন৷ আমিন!

আরআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ