রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের

যে কারণে সাহাবাদের একটি খেজুরও দিলেন না নবী সা.

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাসান মুহাম্মদ শরীফ : গ্রাম থেকে একজন দরিদ্র সাহাবী এসেছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দেখা করার জন্য। সাথে এনেছেন একটা থলে ভর্তি খেজুর। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের নিয়ে মসজিদে নববীর পাশে সুফফার নির্ধারিত জায়গায় বসে আছেন। সাহাবীগণ একমনে তাঁর কথা শুনছেন। গ্রামীণ সাহাবী দূর থেকে তাঁকে সালাম দিলেন। এরপর একটু সামনে এগিয়ে এসে সাথে করে আনা খেজুরের থলে তাঁর হাতে তুলে দিলেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওই সাহাবীর সামনেই থলে থেকে খেজুর বের করে খুব তৃপ্তি সহকারে খেতে শুরু করলেন। সাহাবীর দু‘ঠোঁট গলিয়ে আনন্দের ঝিলিক হাসি হয়ে বেরিয়ে এলো। তা দেখে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো খেজুর বের করে খেতে লাগলেন।

সুফফার সাহাবাগণ তো অবাক! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো কখনো এমন করেন না। আমরা এতোগুলো মানুষ এখানে বসে আছি, কাউকে একটি খেজুরও তিনি দিচ্ছেন না। একা একাই একের পর এক সবগুলো খেজুর তিনি খেয়ে যাচ্ছেন। আজকে হলোটা কী?

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একা একা খেজুর খেয়েই যাচ্ছেন আর ওই সাহাবীর চোখে মুখে আনন্দের দীপ্তি ক্রমেই বেড়ে চলছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সবগুলো খেজুর খাওয়া শেষ হলে সাহাবী দোয়া নিয়ে চলে গেলেন।

উপস্থিত সাহাবাগণ এবার মুখ খুললেন। ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজকে এমনটা কেন হলো? আমাদের কাউকে একটি খেজুরও আপনি খাওয়ার জন্য দিলেন না। অথচ আমাদের কাউকে না দিয়ে আপনি কখনো তো কিছুই খাননি।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তোমরা কি খেয়াল করে দেখেছো, আমি যখন খেজুরগুলো খাচ্ছিলাম তখন তার চোখে মুখে সীমাহীন আনন্দের দীপ্তি কেমন করে ঝলমল করছিলো। হ্যাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা তা লক্ষ্য করেছি।

আসলে খেজুরগুলো খুব সুস্বাদু ছিলো না। আমার কাছে ভীষণ কইষ্ট্যা কইষ্ট্যা লাগছিলো। কিন্তু তা আমি মুখে প্রকাশ করিনি। চোখে মুখে হাসি ফুটিয়ে রেখে আমি ওকে বুঝাতে চেয়েছি খেজুরগুলো আমার খুব ভালোই লাগছে। ওগুলো তোমাদেরকে দিলে তোমরা হয়তো এমন কিছু করে বসতে যাতে সে বুঝে ফেলতো খেজুরগুলো সুস্বাদু নয়। তাই ওগুলো তোমাদেরকে দেয়া আমি সমীচীন মনে করিনি। আমি চাইনি ওর এতো সুন্দর একটা আনন্দ এতো সহজেই নষ্ট হয়ে যাক। আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ