বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬

নবীজির ঘরে মেহমানের কাণ্ড!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অাওয়ার ইসলাম :  মদিনা। নবী প্রেমের বাগান । মদিনার আলো-বাতাস মুহাম্মদময়। একদিন মদিনায় সন্ধ্যা নেমে এলো। মদিনা আলো-বাতাসে ছড়িয়ে পড়লো বেলালি সুর। মিনারের আল্লাহু ধ্বনি খেজুরের পাতা ছিড়ে পৌঁছে গেল ওলিতে গলিতে। সাহাবিরা মসজিদে। সেজদা-তাসবিহ- তেলাওয়াতে মগ্ন। মদিনার নবী হজরত মুহাম্মদও মসজিদে।

দয়ালনবীর দরবারে এসে পৌঁছল একদল মুসাফির। সন্ধ্যার এই অবেলায় নবীজি মুসাফিরদের মেহমানদারির আয়োজন করলেন। সাহাবিদের বললেন, যাও মেহমানদের যথাসাধ্য আপ্যায়ন করো, ওরা আমাদের অতিথি। রাসুল নিজেও একজন অতিথি ঘরে নিয়ে গেলেন।

আরবের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপের গন্ধ। পথিক মানেই ভয়-আতঙ্ক। লোটেরা-ডাকাত। সব ডর-ভয় উপেক্ষা করে দয়াল নবী অচেনা অজানা মেহমানদের আপ্যায়নে ব্যস্ত। রাসুল সা. এর ঘরে সেই অতিথি ছিলো ইহুদি। জেনে শোনেও নবীজি তাকে নিজ হাতে খাওয়ালেন। ইহুদি বলে কথা।

মুহাম্মদকে বিপদে ফেলাতে না পারলে আবার কেমন ইহুদি। সে মনে মনে ইচ্ছা করলো, ‘আজ আমি ঘরের সব খাবার একাই খাব’। ভাবনা ও কাজের মিল পাওয়া গেল। একেবারে পেট পুরে খেলো। নবীজি নিজেই তার বিছানা করলেন। ইহুদি মেহমান গা এলিয়ে দিল ঘুমাবের বিছানায়। গভীর রাত। নীরব নিস্তদ্ধ। ঘুম ভেঙে গেল অতিথির। একেতো মরু পথের দীর্ঘ ক্লান্তি, আবার খেয়েছেও গলা ভরে। এবার বাতরুমের প্রচন্ড চাপ।

কিন্তু এতো রাতে, অজানা অচেনা জায়গায় কোথায় যাবে সে? এমন সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে বিছানা নষ্ট করে ফেলেছে আগন্তুক। এবার ভয় পেয়ে গেল ইহুদি, মুহাম্মদ সা. মদিনার স¤্রাট। তার ঘরে এমন অপকর্ম? লোকটি ভয়ে পালিয়ে গেলো। ছুটে পালাচ্ছে সে যেদিকে দুচোখ যায়। যদি মুহাম্মদের লোকেরা তাকে ধরে ফেলে – এমন ভয়ে ছুটছে প্রাণপণে। এমনি সময় তার মনে হলো সে তলোয়ার ফেলে এসেছে মুহাম্মদরে ঘরে।

সে সময় তলোয়ার ছাড়া ভ্রমণ কল্পনাই করা যায় না। কি করবে আগন্তুক? সিদ্ধান্ত নিল আবার মদিনায় যাবে, তলোয়ার ছাড়া একমুহুর্তও অসম্ভব। চুপিচুপি মুহাম্মদ সা.-এর ঘরে এসে ঢুকেছে ইহুদি। মনে বড় ভয়! কি জানি কি হয়! আরে! একি কি দেখছে সে? ইহুদি মেহমান নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছে না। রাসুল সা. নিজের হাতের লোকটির নষ্ট করে যাওয়া বিছানা ধুয়ে দিচ্ছেন। চেহারায় রাগের চিহ্ন নেই।

রাসুল সা. তাকে দেখে ছুটে এসেছেন তার কাছে। তাকে বলতে লাগলেন, ও ভাই! আমার ভুল হয়ে গেছে, রাতে তোমার খোঁজ নিতে পারিনি, আমার জন্য তুমি অনেক কষ্ট করেছো। আমাকে মাফ করে দাও!

ইহুদি ভাবতেও পারছে না এমনটা। মানুষ বুঝি এমন হয়। তাও রক্ত মাংসে গড়া মানুষ! মানবিক মানুষের উপমা। ইহুদি মেহমান এবার মাথা নুইয়ে দিলেন নবীজির কাছে। সমকণ্ঠে উচ্চারন করলেন, আশহাদু আল্লা ইলাহা ইলাল্লাহু মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ। ওগো আল্লাহর নবী-আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি; আল্লাহ এক-আপনি আল্লাহর রাসুল। সূত্র : বায়হাকি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ