বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার সুদানে জানাজায় হামলা, নিহত ৪০

পা-বিহীন সেই সিরিয়ান শিশুটির হাঁটার ব্যবস্থা করল তুরস্ক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : অাট বছরের সিরিয়ান শিশু মায়া মেরহি।জন্মের পর থেকে পা-ছাড়া চলাফেরা করতে হয় তার। মূলত জন্মগত কারণে দুই পা ছাড়াই পৃথিবীতে এসেছে মেরহি।

সিরিয়ায় চলমান যুদ্ধের সময় আশ্রয় নিয়েছিল আলেপ্পোর একটি শরণার্থী শিবিরে। তার বাবার সাথে আলেপ্পোর একটি শরণার্থী শিবিরে বসবাস করতো মেহরি।

মায়ার বাবার পরিস্থিতিও তার মতো। জন্ম থেকেই তারও দুই পা নেই। কৃত্রিম পায়ের ওপর ভর করে চলতে হয় তাকেও। শরণার্থী জীবনে মেয়েকে নিয়ে ব্যাপক কষ্ট হচ্ছিল তার।

এরই মধ্যে মায়া ও তার পরিবার অালেপ্পো  থেকে ইদলিবে পালিয়ে যাওয়ার পর তার কিছু ছবি প্রকাশ পায়।

এসব ছবিতে দেখা যায় সে পা দিয়ে হাটার জন্য টিউব ও টিনের কৌটা দিয়ে কৃত্তিম উপায়ে তৈরি করা পা দিয়ে হাটছে। তার বাবা কৃত্তিম এসব পা তাকে বানিয়ে দিয়েছে যাতে করে তাকে উত্তপ্ত বালু ও ময়লা আবর্জনায় গড়াগড়ি না খেতে হয়।

মায়া এই কৃত্তিম পা নিয়ে তাবুর বাইরে আসতো। হেটে হেটে শরণার্থী শিবিরের স্কুলেও যেত।

বিশ্ববাসী তার করুণ অবস্থা দেখার পর তুরস্কের রেড ক্রিসেন্ট মেরেহি ও তার বাবাকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।

চিকিৎসক ডা. মেহমেট জেকি বলেন, বর্তমানে মায়া খুব খুশ। তার স্বাস্থ্যও ভালো। এমনকি সে কারো সাহয্য ছাড়াই ভালোভাবে হাঁটতেও পারছে। মাস তিনেকের মধ্যে মায়া স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, তার বাবা তার জন্য কৃত্তিম পা তৈরি করে দেয়ার ফলে সে আগে থেকেই হাঁটতে অভ্যস্ত ছিল। তাই সে খুব দ্রুত তা শিখতে পারছে।

মায়া মেরহি ও তার বাবা দুজনেই স্বাভাবিকভাবে হাটতে পারবে বলে আশাবাদী মেহমেট জেকি।

সিরিয়ায় গত ৭ বছরের যুদ্ধে কতজন নিহত হয়েছেন তার কোন সঠিক তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হয় ৪ লাখ ৬৫ হাজারের অধিক মানুষ নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন এক মিলিয়নের অধিক।

দেশটির যুদ্ধপূর্বাবস্থার মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি মানুষ তাদের দেশ ত্যাগ করেছে।

আরও পড়ুন : দক্ষিণ সিরিয়ায় ১লক্ষ ৮০হাজার শিশু ঘরহারা: ইউনিসেফ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ