বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
লিবিয়ায় বাংলাদেশীকে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা আদায়, মানব পাচারকারী গ্রেপ্তার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জামিন পেল লতিফ সিদ্দিকী মাধবপুর রাজনগরে ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত পুলিশের বাধার মুখে ইসলামি ৮ দলের গণমিছিল মিছিল নিয়ে যমুনার পথে যাচ্ছে ৮ ইসলামী দল বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী সাবেক ছাত্রদল নেতা অস্ত্রসহ গ্রেফতার বরিশাল-৫ আসনে হাতপাখা প্রতীকের সেন্টার কমিটির প্রশিক্ষণ কর্মশালা ‘আমরা কিছু কাজের পর ঘুমিয়ে পড়ি, খতমে নবুওয়তবিরোধীরা তো ঘুমায় না’ পুঁজিবাজারে পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের লেনদেন স্থগিত নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন মালয়েশিয়া শাখার সৌজন্য সাক্ষাৎ

ইস্তিখারা নামাজের ৩ উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম
আওয়ার ইসলাম

ইস্তিখারা শরিয়ত স্বীকৃত একটি ইবাদাত। এ আমল সে করবে যে শরিয়ত অনুমোদিত কোন মুবাহ বা হালাল কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে। অথবা যে কোনো মোস্তাহাবের কাজ থেকে উত্তমটি নির্ণয়ের ইচ্ছা করে। সফর, চাকুরি, বিয়ে, ঘর বা দোকান ভাড়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে আল্লাহর সঙ্গে পরামর্শ করার নামই ইস্তিখারা।

উম্মতের প্রতি রাসূলের অগাধ ভালোবাসা ও দয়ার জ্বলন্ত প্রমাণ এই যে, তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিলেন প্রত্যেক কাজের ভাল-মন্দ আল্লাহ তাআলা থেকে চেয়ে নাও আর সম্পর্ক আল্লাহর সাথে রাখ।

ইস্তিখারা সকল কাজের সফলতার সর্বোত্তম উপায়। কেননা, এতে নম্রতা ও বিনয়ের সাথে মহান আল্লাহর অফুরন্ত নেয়ামতের আকাঙ্ক্ষা ও অভাবনীয় শাস্তি থেকে মুক্তির প্রার্থনা জানানো হয়।

যেহেতু তিনিই সর্ব কাজের অধিকারী, তাই তিনিই জানেন- প্রতিটি কাজের পরিণাম কী হবে। তাই মানুষ ইসতেখারার মাধ্যমে তারই শরণাপন্ন হয়, যাতে করে সে সফলতার দিক নির্দেশনা পায়। মহান আল্লাহ বলেছেন – ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً

তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাক, কাকুতি-মিনতি করে ও সংগোপনে। ( সূরা আরাফ -৫৫ )

১. ইসলামের বিধানের প্রতি আমার অনুরাগ

ইস্তিখারা মাধ্যমে আমার ইসলামের বিধানের প্রতি অনুরাগই প্রকাশ পায়। কোন একটি কাজের দিকে সিদ্ধান্ত নিয়েও ইসতেখারা নামাজ ও দুয়া করে মহান রবের উপর নির্ভর করে এগুতে থাকলে সেটা কল্যাণকর হলে হবে আর অকল্যান থাকলে সেই কাজটি বাধাপ্রাপ্ত হবে, তখন সেখান থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

২. ইস্তিখারা সরাসরি আল্লাহর সঙ্গে পরামর্শ

ইস্তিখারা নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। আর আল্লাহ বান্দার কল্যাণই চান। তাই যে ব্যক্তি ইস্তিখারা করবে তার কাজে অবশ্যই বরকত হবে। আল্লাহ তায়ালা তাকে সঠিক পথ দেখাবেন।

৩. ইস্তিখারার মাধ্যমে যে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সহজ হয়

বিজ্ঞ আলেমগণ বলেছেন, ইস্তিখারা করার পর তার মন যে দিকে ধাবিত হবে সে দিকেই তার সিদ্ধান্ত হবে। তখন সে ওই কাজটিই করবে। আর যদি কোন দিকে ধাবিত না হয় ,তবে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন দিক নির্দেশনা না পাবে, বা কোন দিকে মন ধাবিত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইসতেখারা করতে থাকবে। সূত্র: দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন।

আরও পড়ুন: জাবালে আরাফা সম্পর্কে জানা-অজানা তথ্য

আরও পড়ুনকোথায় নামাজ পড়লে কত সওয়াব?

ব্যবসার হিসাব এখন খুব সহজে, ক্লিক বিসফটি

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ