আওয়ার ইসলাম: চলতি বছর থেকে বাংলাদেশি হজযাত্রীরা সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরের পরিবর্তে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই ইমিগ্রেশন-সংক্রান্ত সার্বিক কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের একথা জানান।
শেখ মো. আবদুল্লাহ বলেন, ‘প্রচলিত রীতি অনুসারে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করেন। আসন্ন হজেও একই নিয়মে তারা আশকোনা হজ ক্যাম্প ও শাহজালালে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর হজযাত্রীদের শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি এক্সক্লুসিভ জোনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাদের সৌদির জেদ্দায় যে ইমিগ্রেশন কাজ হতো, তা ওই এক্সক্লুসিভ জোনে সম্পন্ন হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এক্সক্লুসিভ জোনের সব কার্যক্রম থাকবে সৌদি আরবের নিয়োগ করা টেকনিক্যাল দলের হাতে। এর ফলে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরের ছয় থেক সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করার বিড়ম্বনা লাঘব হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে ভিসার জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই দেশের আট বিভাগেরর প্রত্যেক জেলা সদরের ডিসি অফিসে হজযাত্রীর ১০ আঙ্গুলের হাতের ছাপ সংগ্রহ করা হবে। রমজান মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।’
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘হাজীদের জন্য অন্যান্য বছরের তুলনায় সুন্দর বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও সৌদি কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের লাগেজটিও তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেবে। ফলে কোনো প্রকার জটিলতা হবে না।’
আসন্ন পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজারসহ মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। মোট হজযাত্রীর শতকরা ৫০ ভাগ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও অবশিষ্ট ৫০ ভাগ সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।
কেপি