রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

রমজানে যে ৪টি দুআ বেশি বেশি করতে হয়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি সুহাইল আবদুল কাইয়ূম:

হযরত সালমান (রা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবানের শেষ দিন রমযানের আগমনী খুতবায় ইরশাদ করেন,

অর্থ: "তোমরা এই মাসে (অর্থাৎ রমযান মাসে) চারটি কাজ বেশি বেশি করতে থাকো। (তন্মধ্য হতে) দুটি কাজ এমন, যেগুলো দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করবে। আর দুটি কাজ এমন, যা না করে তোমাদের কোন উপায় নেই।

প্রথম দুটি কাজ যেগুলো দ্বারা তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে সন্তুষ্ট করবে তা হল, অধিক পরিমানে কালিমায়ে তায়্যিবা পড়বে এবং ইস্তেগফার করবে।

আর যে কাজ দুটি তোমাদের না করে কোন উপায় নেই তা হল, আল্লাহ তাআলার নিকট জান্নাত চাইবে এবং জাহান্নাম হতে মুক্তি চাইবে।" –সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস নং ১৮৮৭; বাইহাকী, শুআবুল ঈমান, হাদীস নং ৩৬০৮

উপরোক্ত হাদীস থেকে বুঝা যায় রমাদান মাসে নিম্নোক্ত ৪টি কাজ বেশি বেশি করতে হবে-

১। অধিক পরিমানে কালিমায়ে তায়্যিবা অর্থাৎ لا إله إلا الله (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ) পড়া।

২। ইস্তেগফার করা অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা। যেমন أَسْتَغْفِرُ الله (আস্তাগফিরুল্লাহ) পড়া।

সুনানে আবু দাউদ ও তিরমিযীতে বর্ণিত হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত ইস্তেগফারটি পড়বে তাকে মাফ করে দেওয়া হবে যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করে (অর্থাৎ ভয়াবহ কোন গুনাহ করলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে)। –সুনানে আবূ দাউদ, হাদীস নং ১৫১৯; সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং ৩৫৭৭

ইস্তিগফারটি এই-
أَسْتَغْفِرُ الله الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাযী লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যুমু ওয়া আতু-বু ইলাইহি। অর্থ: আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি – যিনি চিরস্থায়ী চিরঞ্জীব, আমি তাঁর কাছেই তওবা করছি।

৩। আল্লাহ তাআলার নিকট জান্নাত চাইতে থাকা। আরবীতে এভাবে বলা যায়- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাহ। অর্থ: হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট জান্নাত চাই।

৪। আল্লাহ তাআলার নিকট জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া। اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনান্নার। অর্থ: হে আল্লাহ আমি আপনার নিকট জাহান্নাম থেকে পানাহ চাই।

উভয়টি একসাথে এভাবে বলা যায়- اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَ أَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আউযু বিকা মিনান্নার।

অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত কামনা করছি এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টি ইবাদতের সাথে রমাদানের প্রতিটি মুহূর্ত কাটানোর তাওফিক দান করুন। আমীন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ