বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে

বিপদ-আপদ থেকে মুক্তির দোয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বিপদ কখনও বলে-কয়ে আসে না। কখন কার ওপর কোন সমস্যা ও বিপদ নেমে আসে তা কেউ জানে না। স্বাভাবিকভাবে বিপদ বা সঙ্কটে পড়লে মানুষ হতবিহ্বল হয়ে যায়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে, মানুষ দিশেহারা হয়ে করণীয় ভুলে যায়।

তবে বিপদে পড়লে সবার প্রথমে আল্লাহ তায়ালার কাছে বিপদ থেকে সাহায্য চাইতে হয়। তিনিই একমাত্র উদ্ধারকারী। তিনি চাইলে মুহূর্তেই যেকোনো বিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারেন। সব ধরেনের পেরেশানি দূর করে দিতে পারেন।

বিপদাপদ থেকে পরিত্রাণের জন্য কুরআন এবং রাসুলুল্লাহ সা.-এর হাদিসে কিছু দোয়া ও আমলের কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আনাস রা. বলেন, যখন হজরত রাসুলুল্লাহ সা.- এর ওপর কোনো কাজ কঠিন হয়ে দেখা দিত, তখন তিনি এ দোয়াটি পড়তেন। -তিরমিজি: ২৪৫৪

উচ্চারণ: ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছু। অর্থ: হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্ব চরাচরের ধারক! আমি তোমার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

হজরত রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, মাছের পেটে ইউনুস আ. এ দোয়া পড়ে আল্লাহ তায়ালাকে ডেকেছিলেন এবং মুক্তি পেয়েছিলেন। যদি কোনো মুসলিম বিপদে পড়ে এ দোয়া পাঠ করে, আল্লাহ তা কবুল করবেন। –সুনানে তিরমিজি: ২২৯২

উচ্চারণ: লাইলা-হা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুমিনাজ্জালিমিন। -সূরা আম্বিয়া: ৮৭। অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি মহাপবিত্র। নিশ্চয়ই আমি সীমা লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত।

বিপদ-মসিবত থেকে বেঁচে থাকতে এই দোয়াগুলোও পাঠ করা যেতে পারে।

উচ্চারণ: ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা।

অর্থ: আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমাদেরকে তারই দিকে ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! বিপদে আমাকে সওয়াব দান করুন এবং যা হারিয়েছি তার বদলে তার চেয়ে ভালো কিছু দান করুন। -সহিহ মুসলিম

অন্য আরেক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সা. বিপদের সময় এই দোয়াটি পাঠ করতেন- উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল হাকিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়াল আরদি- ওয়া রাব্বুল আরশিল কারিম।

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি পরম সহিষ্ণু ও মহাজ্ঞানী। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি মহান আরশের প্রভু। আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই, তিনি আকাশমন্ডলী, জমিন ও মহাসম্মানিত আরশের প্রভু। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম।

দোয়া  কবুলের বহুঘটনা থেকে কিছু ঘটনা নিয়ে লেখা হয়েছে দু’য়া কবুলের গল্পগুলো

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ