রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম

দুই মহীয়সী নারীর অর্থায়নে নির্মিত হয় ঐতিহাসিক এই মসজিদ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন ।।

দুনিয়াজুড়ে মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনাগুলো সাধ্যমতো সুন্দর করে নির্মাণ করার চেষ্টা করা হয়। আর এসব স্থাপনা নির্মাণে ব্যবহার করা হয় ওই যুগের সবচে’ উন্নত নির্মাণশৈলী ও কারুকাজ। তবে আজ যে মসজিদের ব্যাপারে কথা বলবো, তা সৌন্দর্য ও কারুকার্যের দিক দিয়ে বিশ্বের আর দশটা মসজিদ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং শিল্প ও বৈশিষ্ট্য গুণে অনন্য।

বলকান দীপপুঞ্জের ম্যাসেডোনিয়া রাজ্যে অবস্থিত সিরিনা মসজিদ; ঐতিহাসিক দিক থেকে তো মসজিদটি গুরুত্বপূর্ণ বটেই, এরপরে সিরিনা মসজিদকে বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক শিল্পকর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

মসজিদের ছাদ এবং দেয়ালগুলোতে নকশাকারে চিত্রায়িত হয়েছে সুন্দর ও মুগ্ধকর নানা দৃশ্য । আর সব মসজিদের মতো মূল ইমারতের স্বাভাবিকতা বাকি রেখে এটিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাহারি রঙ। আর উন্নত ডিজাইনে স্থায়ী সাজসজ্জায় সিরিনা মসজিদকে মনকাড়া রূপ প্রদান করা হয়েছে। বাস্তবে মসজিদের রূপ এমন যে, সৌন্দর্যের কোন কমতি দৃষ্টি গোচর হয়না।

কিংবদন্তি আছে, সিরিনা মসজিদে ব্যবহৃত কৃত্রিম রঙ প্রাচীন নিয়মে ডিম এবং অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়। মসজিদে খরচ হওয়া সব রঙ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে অন্ততপক্ষে ৩০ হাজার ডিম।

এখন থেকে অন্তত ৫০০ বছর আগে বলকানে সিরিনা মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তরস্থাপন করা হয়েছিল; ওই সময়ে বলকান উসমানীয় সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত থাকায় সেখানের ধর্মীয় স্থাপনা ও মসজিদ-মাদরাসা সাধারণত তুর্কী সুলতান কিংবা রাষ্ট্র প্রধানদের হাতে নির্মিত হত।

তবে এই মসজিদটি কোন শাসক বা সুলতান নির্মাণ করেননি বরং হারশিদা এবং মাইনসুর নামের মহীয়সী দুই নারী সিরিনা মসজিদ নির্মাণের যাবতীয় খরচাদি বহন করেছিলেন। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে এই দুই নারীর সমাধি আজ পর্যন্ত মসজিদের অভ্যন্তরে সুরক্ষিত রয়েছে।

সপ্তদশ শতাব্দীতে তৎকালীন তুর্কিস্তানের আওতাধীন বলাকান রাজ্য বিরাট প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার হলে এ অঞ্চল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তবে আল্লাহর রহমতে এই বিপর্যয়ে মসজিদটির উল্লেখ করার মতো কোন ক্ষতি হয়নি।

https://www.facebook.com/ilmfeedtravel/videos/326107641412500/

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ