রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে রাজনৈতিক দলগুলো: প্রেসসচিব আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম

দিল্লি জামে মসজিদ: মোগল স্থাপত্যের অনন্য নিদর্শন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আব্দুল্লাহ আফফান: ভারতের অসাধারণ স্থাপত্যের অন্যতম দিল্লির জামে মসজিদ। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম একটি মসজিদ। পুরান দিল্লির অলিগলিতে হাঁটলেই চোখে পড়বে এটি। এর অতুলনীয় সৌন্দর্য পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।

এ মসজিদটি মূলত মসজিদ-ই জাহান-নুমা নামে পরিচিত ছিল, যার অর্থ 'জগতের প্রতিবিম্ব মসজিদ'। শাহজাহানের শাসনকালে তার উজির সাদুল্লাহ খানের তত্ত্বাবধানে মসজিদটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। মসজিদটিকে সাধারণভাবে জামে মসজিদ বলা হয়।

মোঘল সম্রাট শাহজাহান ১৬৪৪ থেকে ১৬৫৬ সালের মধ্যে এ মসজিদটি তৈরি করেন। মসজিদটি তৈরিতে প্রায় ১০ লক্ষ রুপি ব্যয় হয়। এটি নির্মাণে প্রায় ৫০০০ জন শ্রমিক কাজ করেন। ২৩ জুলাই ১৬৫৬ সালে সম্রাট শাহজাহানের আমন্ত্রণে বর্তমান উজবেকিস্তানের বুখারা নামক স্থানের একজন ইমাম মসজিদটি উদ্বোধন করেন।

দিল্লির জামে মসজিদ

মসজিদের চত্বরে প্রায় ২৫ হাজার মুসলিম একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদের ভেতরে বসতে পারেন ৮৫ হাজার মুসলমান। সেখানে এত বিপুলসংখ্যক মানুষের প্রার্থনার দৃশ্য দেখার মতো। বিশেষ করে ঈদে দিল্লি জামে মসজিদে নামাজ দেখা ও পড়া মনে রাখার মতো।

দিল্লির জামে মসজিদ

জামে মসজিদের স্থাপত্যশৈলীর সাথে পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব কর্তৃক নির্মিত বাদশাহি মসজিদের বিশেষ মিল রয়েছে। শাহজাহান নির্মিত আগ্রার তাজমহল এবং দিল্লির লাল কেল্লা জামে মসজিদের বিপরীতে অবস্থিত।

১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহে ব্রিটিশদের বিজয়ের পরে তারা মসজিদটিকে বাজেয়াপ্ত করে এবং এটিকে একটি সৈন্য ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। মুসলমানদের শাস্তি দেবার জন্য তারা মসজিদটিকে ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলো, কিন্তু বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়ায় সেটা তারা আর করতে পারেনি।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ