রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ‘ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য থেকে বিরত থাকুন’ গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা

সপ্তাহের যে দিনে মসজিদে কুবায় মুসল্লিদের ঢল নামে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন ।।

মসজিদে কুবায় নামাজ আদায়ের জন্য পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আসেন। মদিনায় অবস্থিত এটি ইসলাম ধর্মের সর্বপ্রথম মসজিদ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে কুবায় এক মুহূর্ত ইবাদত করা অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয় মনে করেন মুসলিম উম্মাহ।

এজন্য বছরব্যাপী এই মসজিদটি মুসল্লিদের সমাগমে মুখরিত থাকে। কিন্তু সপ্তাহের শনিবারের চিত্রটা এর একটু ব্যতিক্রম। এদিন মানুষের ভীড় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়, লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে ঐতিহাসিক এই মসজিদটি।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সপ্তাহের প্রথম দিন প্রতি শনিবার পদব্রজে কিংবা বাহনে চড়ে মসজিদে কুবা জিয়ারতে আসতেন। উম্মতে মুহাম্মাদি প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অনুসরণে তাই এই দিনে মসজিদে কুবায় আগমন করেন। তাসবিহ তাহলিল নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে তারা হাজির হন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিজ হাতে তৈরি প্রাচীন এই মসজিদে।

কুরআনে কারিমে মুসজিদে কুবার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে, মহান আল্লাহ বলেন,'তুমি কখনো সেখানে দাঁড়াবে না, তবে যে মসজিদের ভিত্তি রাখা হয়েছে তাকওয়ার উপর প্রথম দিন থেকে, সেটিই তোমার দাঁড়াবার যোগ্য স্থান। সেখানে রয়েছে এমন লোক, যারা পবিত্রতাকে ভালবাসে। আর আল্লাহ পবিত্র লোকদের ভালবাসেন। ( সূরা তাওবাহ-আয়াত : ১০৮)

হাদিস শরিফে মসজিদে কুবায় ইবাদত করার বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে,আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ঘর থেকে পবিত্র হয়ে মসজিদে কুবায় আগমন করবে এবং এখানে নামাজ আদায় করবে সে ওমরাহর সওয়াব লাভ করবে। ( সহিহ তিরমিজি) হাদিস বিশারদগণ লিখেন,দুই রাকাত কিংবা এর চেয়ে বেশি যেকোনো নামাজ আদায়ের মাধ্যমে এই বিরাট পূণ্য অর্জন করা যাবে, ফরজ বা নফল তা যাই হোক।

আরএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ