বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২১ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জোটে ভোট কাটে রাজনীতির ঠোঁট ভারতের প্রেসক্রিপশনে আন্দোলন সফল হতে দেবে না জনগণ: মাওলানা ইউসুফী ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের চেষ্টা করব’ বিএনপি-জামায়াতের বাইরে নতুন রাজনৈতিক জোটের উদ্যোগ এনসিপির  মাইলস্টোনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের কারণ পাইলটের উড্ডয়ন ত্রুটি পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে

করোনা নিয়ে ভারতে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষ, ভাংচুর, আটক ১১২

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: করোনা সংক্রমণকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এ পর্যন্ত শতাধিক লোককে আটক করেছে বলে জানা যাচ্ছে।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের হুগলীর জেলায় কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং লোকজনকে কোয়ারেন্টাইনে নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এই সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় সম্প্রদায়ের লোকদের দোকানপাট, বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও বোমাবাজির মতো ঘটনাও ঘটেছে।

বিবিসি বলছে, গত রোববার বিষয়টি নিয়ে প্রথম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে ফের নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এখনও পর্যন্ত মোট ১১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য কয়েকদিন আগে হুগলির তেলেনিপাড়া এলাকায় একটি শিবির করা হয়েছিল। পরীক্ষায় প্রথমে একজন মুসলিমের কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। পরে আরো কয়েকজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। কিন্তু শনাক্ত হওয়া সবাই মুসলিম। এ থেকেই মূলত শুরু হয় নানা মন্তব্য এবং তা থেকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে বলেন, টেস্ট শিবিরটাই ছিল মুসলিম প্রধান এলাকায়। সে কারণে মুসলিমদের মধ্যে করোনা পজিটিভ বেশি। কিন্তু সেটা নিয়ে হিন্দুদের একাংশ মুসলমানবিরোধী প্রপাগান্ডা ছড়াতে থাকে। মুসলমানরা করোনা ছড়াচ্ছে বলে নানাভাবে উস্কানি ছড়াতে থাকে।

এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই পক্ষেরই ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতি যাতে অবনতির দিকে যেতে না পারে, কেউ যাতে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করতে পারে সেজন্য ওই অঞ্চলের ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ