বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫ ।। ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ১০ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
আ. লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে: হাসনাত জুলাই গণহত্যা: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ গঠন সরকারের মধ্যস্থতায় হামিদের পালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে: নুর আ. লীগের বিচারে সরকারের নতুন উদ্যোগ, জানালেন উপদেষ্টা স্কুলে নৈতিক শিক্ষা ছোট থেকেই দেয়া উচিত : মাসউদুল কাদির সিলেটে খেলার মাঠ নিয়ে বিএসএফ-স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা যৌতুকবিহীন বিয়ে করায় ২০ নবদম্পতিকে উপহার দিল জামায়াত আবদুল হামিদের দেশত্যাগ, ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আলেমবিদ্বেষী বক্তব্যে ফটিকছড়িতে উমামা ফাতেমাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা সমমনা ইসলামী জোটের বৈঠকে ৩০০ আসনে একক প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত

মাত্র ৮৬ দিনে কোরআন হিফজ করলেন জাকারিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মাত্র ৮৬ দিনে কোরআন মুখস্থ করলেন ১২ বছর বয়সি মো. জাকারিয়া হুসাইন। মেধাবী এ কিশোর এতো অল্প বয়সে ও কম সময়ে হেফজ শেষ করায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষসহ এলাকাবাসী তাকে সংবর্ধনা প্রদান করেছে।

জানা যায়, হাফেজ মো. জাকারিয়ার বাবা সেলিম রেজা পেশায় অটোরিক্সা চালক। লজিং থেকে পড়াশোনা করে সে এমন বিরল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। এক ভাই দুই বোনের সংসারে সে সবার ছোট। মো. জাকারিয়া হুসাইন সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই কবরস্থান সংলগ্ন আল জামিয়াতুল আহলিয়াতুল আমিনিয়া (তামাই কবরস্থান মাদরাসা) মাদরাসার ছাত্র। ওই মাদরাসা প্রাঙ্গনে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ অংশগ্রহণ করে।

লুঙ্গি শিল্পের গ্রাম হিসেবে খ্যাত তামাই গ্রামে মাদরাসাটি ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। দাওরায়ে হাদিস পর্যন্ত এ মাদরাসা প্রায় ১১ শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে।

আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- সমাজসেবক আলহাজ্ব ফজলার রহমান তালুকদার, মো. রুহুল আমিন মিঠু, অধ্যক্ষ মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মো. আবদুল মান্নান তালুকদার, মো. আইয়ুব আলী খান ও আলহাজ্ব নান্নু আকন্দ প্রমুখ।

সংর্বধনা শেষে হাফেজ মো. জাকারিয়াকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাফেজ জাকারিয়া বড় হয়ে হক্কানি আলেম হওয়ার আশা প্রকাশ করেন। তার শিক্ষকরা আজীবন তার পাশে থাকার কথা জানান।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত শেষে মো. জাকারিয়া জানায়, আমি যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার পেছনের মূল অবদান আমার শিক্ষক হাফেজ এনামুল হাসানের। এ ছাড়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও অবদান ছিল।

হাফেজ এনামুল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, হাফেজ জাকারিয়া কম করে হলেও প্রতিদিন ৮ পৃষ্ঠা সবক শুনিয়েছে। মাঝে-মধ্যে বেশিও মুখস্থ করত। সবোর্চ্চ ১৫ পৃষ্ঠা একদিনে মুখস্থ করেছে। সে পড়াশোনায় খুবই মনোযোগী, তাকে পড়ার জন্য কখনও তাগাদা দিতে হয়নি।

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ