বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পুলিশের খোয়া যাওয়া অস্ত্র উদ্ধারে আবারও পুরস্কার ঘোষণা বিশাল স্বর্ণ ভান্ডার মিলল পাকিস্তানে একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ

বাতাসের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর প্রমাণ পেলো গবেষকরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: অবশেষে বাতাসের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে গবেষকরা। নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২ মূলত বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় বলে প্রমাণ পেয়েছেন তারা। মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটের এক নতুন পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাস যে বায়ুবাহিত রোগ, তার সপক্ষে ‘ধারাবাহিক ও দৃঢ়’ প্রমাণ পাওয়া গেছে।

যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ছয় বিশেষজ্ঞ ওই পর্যালোচনায় জানিয়েছেন, জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলো যদি বায়ুবাহিত ভাইরাস হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা না নেয়, তবে মানুষকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব না। ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে পড়বে।

ছয় বিশেষজ্ঞের একজন কোঅপারেটিভ ইনস্টিটিউশন ফর রিসার্চের রসায়নবিদ ও কোলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোস-লুইস জিমনেজ বলেন, ‘এটি যে বায়ুবাহিত রোগ তার পক্ষে দৃঢ় প্রমাণ পাওয়া গেছে। সে তুলনায় বড় আকারের ড্রপলেটের মাধ্যমে সংক্রমণের প্রমাণ অনেক কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য জনস্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর উচিত জরুরিভিত্তিতে ভাইরাসটির সংক্রমণের যে বিবরণ তারা দিয়েছে, সেটিকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া। বায়ুবাহিত রোগ হিসেবে চিহ্নিত করা হলে এর সংক্রমণ কীভাবে কমানো যায়, সেদিকেও অতি দ্রুত মনোনিবেশ করতে হবে।’

অক্সফোর্ডের ত্রিস গ্রিনহালগের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল প্রকাশিত ওই গবেষণাটি পর্যালোচনা করেছে। তারা বায়ুবাহিত রোগ হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে প্রমাণ পেয়েছেন।

গবেষণাটি বলছে, ‘স্ক্যাগিট কয়ার’ (ওয়াশিংটনের একটি অনুষ্ঠান) এর মতো অনুষ্ঠানকে সুপার-স্প্রেডার (অত্যধিক হারে সংক্রামক) ইভেন্ট বলা হয়েছে, যেখানে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি প্রায় ৫৩ জনকে সংক্রমিত করেছিলেন। তবে শুধুমাত্র ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা, একই বস্তু স্পর্শ করা কিংবা একই ছাদের নিচে সময় কাটানোর মতো ঘটনাগুলোর মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর বিষয়টি গবেষণার মাধ্যমে পুরোপুরি প্রমাণ করা যায়নি।

এছাড়া, সার্স-কোভ-২ এর সংক্রমণের হার বাইরের তুলনায় বাড়ির ভেতর অনেক বেশি। তবে, ভেতরে সুষ্ঠু বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করা হলে এর সংক্রমণ ব্যাপকভাবে কমে যায়।

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ