রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী আরও দুই নেতা যেসব দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে  ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলো যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া জাগো হে কওমি তারুণ‍্য! রাতেই ঢাকাসহ তিন অঞ্চলে ঝড়ের আভাস অর্থনীতির মূল লক্ষ্য হতে হবে উদ্বৃত্ত সৃষ্টি: বাণিজ্য উপদেষ্টা চবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ডেঙ্গুতে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৭৪০ সিরাতকে ধারণের মাধ্যমেই সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব: ধর্ম উপদেষ্টা সিরাতুন্নবী (সা.) সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার লাইভ ড্র অনুষ্ঠান ২৩ সেপ্টেম্বর

যেভাবে নেবেন নিজের সংগ্রহে থাকা বইয়ের যত্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পারভিন সুলতানা: টাপুরটুপুর বৃষ্টিতে বিছানায় শুয়ে হাতে একটা বই নিয়ে পড়ার অনুভূতি একেবারেই আলাদা, যা আধুনিক যুগের 'ই-বুক' মেটাতে পারে না। সেই বইকে পোকা কাটা, ধুলো জমা, ছিঁড়ে বা বর্ষায় নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন জেনে নিন।

বুক শেলফ: বইয়ের যত্নের জন্য প্রথমেই দরকার ভালো একটি শেলফ বা বইয়ের তাক, যা সহজেই পরিষ্কার করা যায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি শেলফে কাচের দরজা থাকে। এমনটা হলে ধুলোবালি কম পড়ে, আবার বইগুলো বাইরে থেকে দেখাও যায়। কাচের শেলফ না থাকলেও, বই কিন্তু কখনোই দরজা বা জানালার গা ঘেঁষে রাখবেন না। এতে রোদ বা বৃষ্টির ছাট এসে সহজে নষ্ট করে দিতে পারে আপনার সখের বইগুলিকে।

মুছে নিন: বই পোকা কাটে, এতে ধুলো জমে, বই দুর্গন্ধ হয় কিংবা ছিঁড়ে যায়। ধীরে ধীরে কেনা প্রিয় বইয়ের এই অবস্থা যাতে না হয়, সে জন্য মাঝে মাঝে বইগুলোকে শেলফ থেকে নামিয়ে আস্তে আস্তে সেগুলো শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর কিছুক্ষণ রোদে রাখার পর আবারো যত্ন করে তুলে রাখুন বইয়ের তাকে।

পড়ার অভ্যাস: বই জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে, দৃষ্টিকেও করে প্রসারিত। তাই ছোটবেলা থেকে শিশুদের যেমন বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার অভ্যাস করা দরকার, তেমনি বইয়ের যত্নও শেখানো উচিত তাদের। এর জন্য বইয়ের ভেতরে নিমপাতা এবং শেলফের প্রত্যেকটি তাকে একটি বা দুটি করে ন্যাপথলিন বল রেখে দিন। এ ছাড়া শুকনো ল্যাভেন্ডারের ফুল দিয়ে ছোট ছোট পুটলি বানিয়ে শেলফের কোণায় রাখতে পারেন। এটা বইকে পোকা কাটা থেকে দূরে রাখবে।

গুছিয়ে রাখুন: গাদাগাদি করে বই না রেখে, বিষয় অনুযায়ী বইয়ে লেবেল লাগিয়ে গুছিয়ে রাখুন। তা ছাড়া সব বই যে একদিনেই মুছতে বা পরিষ্কার করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। সময় কম থাকলে একেকদিন একেক বিষয়ের বইগুলো পরিষ্কার করুন, যত্ন নিন। এতে বই খুঁজে পাওয়া এবং পরিষ্কার করে বই গুছিয়ে রাখা অনেক সহজ হয়ে যাবে। তা ছাড়া বইপ্রেমী বন্ধুদের উপহার খুঁজতেও গোছানো বুক শেলফ সাহায্য করবে আপনাকে।

রাসায়নিক পাউডার: তুলনামূলকভাবে বেশি পুরনো বইয়ে কিন্তু পোকামাকড় ও দুর্গন্ধ বেশি হয়। এ সব এড়াতে কেউ কেউ বইয়ের ভেতর রাসায়নিক পাউডার দিয়ে রাখেন, যা একেবারেই উচিত নয়। কারণ বইয়ে থাকা পাউডার থেকে বই পড়ার সময় শরীরের ক্ষতি হতে পারে। আসলে বই নিয়মিত ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার করে রাখলে বইয়ের মধ্যে রাসায়নিক ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন হয় না।

বইয়ের মলাট: পড়ার আগে বইয়ে মলাট লাগিয়ে নিলে বইয়ের ওপরটা অনেক দিন পর্যন্ত নতুন থাকে। আর যদি পড়ার সময় প্রিয় বইটির চেহারা দেখতে চান, তাহলে ট্রান্সপারেন্ট পেপারের মলাট লাগিয়ে নিন। তাহলেই আর কোনো অসুবিধা থাকবে না। তবে হ্যাঁ, পড়ার সময় বা পরিষ্কার করার সময় বই কিন্তু কখনো ভেজা বা নোংরা হাত দিয়ে ধরবেন না।

সাবধান! বইপ্রেমীদের মনের পিপাসা মেটাতে যে বিশ্বের সব বই কিনে পড়া সম্ভব নয়, তা সকলেই জানে। এরপরও অনেকে বই পড়তে নিয়ে ছিড়ে ফেলে, অযত্নে রেখে নষ্ট করে। এটা সত্যিই বেদনাদায়ক। তাই কাউকে নিজের সখের বা দরকারি কোনো বই পড়তে দেওয়ার আগে এই কথাটি মনে করিয়ে দেবেন। আর তা হলো, আপনার দেওয়া বইটি যদি ভালো থাকে, তবে বন্ধুত্বও টিকে থাকবে। তাই বইয়ের যত্ন নিন, অন্যদের যত্ন নিতে উদ্বুদ্ধ করুন।

-কেএল


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ