বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২০ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
একীভূত হওয়া ৫ ব্যাংকের অর্থ ও আমানত সুরক্ষিত থাকবে : গভর্নর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মিলিত শিক্ষার্থী ফোরামের মানববন্ধন বৈষ্যমের বিরুদ্ধে সিলেটবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রনে সরকারকে ন্যাপের আহ্বান জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ব্যতীত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ গঠন সম্ভব নয়: কামাল হোসেন ঘূর্ণিঝড় টাইফুন কালমেগি আঘাত, নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ ২৬ নড়াইল-২ এনপিপির চেয়ারম্যানকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ঢাকাস্থ বাজিতপুর-নিকলী উলামা পরিষদের মতবিনিময়, কর্মসূচি গ্রহণ মিসরে বাংলাদেশি ছাত্রদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’-এর নতুন কমিটি দাওরায়ে হাদিস সনদধারীদের নিয়োগে ধর্ম উপদেষ্টার ডিও লেটার

মসজিদে হারামের গ্রন্থাগার: জ্ঞানের এক অবারিত দুনিয়া

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইয়াহইয়া বিন আবু বকর।।

হারামাইন শরিফাইনের পরিচালনা বিষয়ক কমিটির তত্তবধানে রয়েছে হাজারো বিষয়ে রচিত কিতাবের বিশাল গ্রন্থাগার৷ গ্রন্থাগারটি মক্কার হেরেমের মধ্য অবস্থিত৷ এতে রয়েছে লক্ষ লক্ষ মূল্যবান কিতাব৷ দুর্লভ ও দুষ্প্রাপ্য বহু কিতাবের সংগ্রহও এতে রয়েছে৷ ইসলামী মৌলিক শিক্ষার প্রধান প্রধান কিতাব সহ ফিকহ, হাদীস, তাফসীর, লিসান্স, সাইন্স ও মনোবিজ্ঞানসহ আরো রয়েছে অসংখ্য বিষয়ে রচিত কিতাবের সমাহার৷ বলতে গেলে মক্কাবাসী হাজি এবং মক্কার পর্যটক ও জ্ঞানপিপাসুদের জন্য এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের এক বিশাল ভাণ্ডার৷
গ্রন্থাগারটি সুবিশাল হওয়ার সাথে সাথে ইসলামী ইতিহাসের প্রাচীন বৃহত গ্রন্থাগারের মধ্যে এটাকেও উল্লেখযোগ্যভাবে গন্য করা হয়৷

গ্রন্থাগারটির ইতিহাসঃ

ইতিহাসের উৎসগ্রন্থ অধ্যয়নে জানা যায়, ১৬১ হিজরীতে আব্বাসী খলিফা মুহাম্মাদ মাহদীর শাসনামলে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়৷ হিজাজে সাউদ পরিবারের রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সাউদ বংশের প্রথম শাসক আবদুল আজিজ বিন আবদুল রহমান আস সাউদ গ্রন্থাগারটির সম্প্রসারণ ও আরও উন্নত করণের প্রতি মনোনিবেশ করেন। গ্রন্থাগারটির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য আলেমদের সমন্বয়ে একটি কমিটিও গঠন করেন৷

১৩৫৭হিজরিতে এই গ্রন্থাগারটির "মাকতাবাতুল হারামিল মাক্কিয়্যি" নামে নামকরণ করা হয়৷ ঐতিহাসিক প্রাচীন এ গ্রন্থাগারটিতে সমসাময়িক সাহিত্যের ও একটি বৃহত অংশ রয়েছে। এই কারণেই এই গ্রন্থাগারটি বর্তমান সময়ের বৃহত্তম গ্রন্থাগারগুলির একটি।

লেখক গবেষক এবং বিভিন্ন জ্ঞান বিশেষকরে ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে অধ্যয়নরত ও ডিগ্রী অর্জনকারী ছাত্রদের জন্য এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের নির্ভরযোগ্য ও ভিত্তিমূলক একটি কেন্দ্র৷ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয়ে তাখাসসুসকারী ত্বলাবারা এর থেকে ভরপুর ফায়দা অর্জন করে থাকে৷ শিক্ষক ছাত্র, লেখক গবেষক, দায়ী ও বুদ্ধিজীবি সকলেই জ্ঞানপিপাসা মেটাতে গ্রন্থারটিকে গনিমত মনে করেন৷

গ্রন্থাগারটির বিশেষ বৈশিষ্ট: আধুনিক প্রযুক্তির আলোকে অন্ধদের জন্যও কিতাব প্রস্তত করা হয়েছে৷ ফলে তারাও এ গ্রন্থারটির ইলমী খাজানা থেকে বঞ্চিত নয়৷

ঐতিহাসিক এ গ্রন্থারটিতে ৭০ হাজার শিরোনামে লিখিত কিতাব রয়েছে৷ ধর্মীয় জ্ঞান, ইসলামী তাহযীব ও তামাদ্দুন সহ বিশ্ব সংস্কৃতি এবং সভ্যতা নিয়ে রচিত কিতাবও রয়েছে৷

পবিত্র মাহে রমজান আসার সাথে সাথে দর্শনার্থীদের ভীড়ও এতে বেড়ে যায়৷ এ বছর বিশ্ব করোনা মহামারির কারণে গ্রন্থাগারটিতে অধ্যয়নকারীদের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে৷ সেখানে স্যানিটাইজার সহ পরিক্ষার যন্ত্রপাতিও রয়েছে৷ গ্রন্থাগারটিতে প্রবেশকারী প্রত্যকের তাপমাত্রা মাপা হয় এবং করোনা পরিক্ষা করা হয়৷

সূত্র: আল আরাবিয়া নেট

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ