রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আজ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে যুক্তরাজ্য খেলাফত মজলিস বানিয়াচং উপজেলা শাখার ইউনিয়ন প্রতিনিধি সম্মেলন ‘নীলনদের পানি যেমন নীল নয়, তেমনি জামায়াতেও ইসলাম নেই’ কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন

মোদির সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত কাশ্মীরি নেতারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কাশ্মীর নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকার ডিক্লারেশনভুক্ত (পিএডিজি) কাশ্মীরের স্থানীয় ছয়টি দল। মঙ্গলবার জোট প্রধান ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহর শ্রীনগরের বাড়িতে দীর্ঘ আলোচনার পর এ সিদ্ধান্তে পৌঁছান তারা।

বৈঠক শেষে ফারুক আবদুল্লাহ বলেন, ২৪ জুনের দিল্লি বৈঠকে কাশ্মীরের স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জোট পিএডিজি উপস্থিত থাকবে বলে সম্মত হয়েছে। তিনি জানান, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেত্রী মেহবুবা মুফতি, জোট মুখপাত্র মোহাম্মদ ইউসুফ তারিগামিসহ অন্যান্য নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দিল্লি বৈঠকে জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা নরেন্দ্র মোদির কাছে ওই রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন ফেরত চাইবেন। এক বৈঠকে এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন কাশ্মীরের স্থানীয় দলগুলোর নেতারা। বৈঠকে দলগুলোর বর্তমান ও সাবেক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রায় দুই বছর পর এই প্রথম আগামী ২৪ জুন দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন নরেন্দ্র মোদি। এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওই অঞ্চলের ১৪টি রাজনৈতিক দলকে। অনেকে মনে করছেন, সর্বদলীয় বৈঠকের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে নতুনভাবে রাজনৈতিক বলয় তৈরি করতে চাচ্ছে মোদি সরকার।

দিল্লির এই সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিখণ্ডিত রাজ্যের বিধানসভার নতুন সীমানা নির্ধারণ, রাজ্যের উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।

ওই বৈঠকে জম্মু-কাশ্মিরের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, চলমান করোনা বিধিনিষেধ শিথিল করা, ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক করা এবং আটক রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারত। ফলে কাশ্মীর এতদিন যে বিশেষ অধিকার পেত তা খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে ভেঙে দুইটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করা হয়। এর একটি হলো- লাদাখ এবং অপরটি জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটির সার্বিক উন্নয়নের জন্যই ভারত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানায় নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার।

সূত্র: আউটলুক ইন্ডিয়া, দ্য কাশ্মীর মনিটর

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ