রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল, সম্পাদক মাজহারুল ইসলামি শক্তির মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টিকারী বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপির একীভূত হওয়ার আলোচনা, নেতৃত্ব নিয়ে জটিলতা পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক 

৬ মাসে কাশ্মিরে ১৩৯ জন নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতশাসিত কাশ্মিরে এ বছরের জানুয়ারি থেকে প্রথম ছয় মাসে ১৮ জন বেসামরিক ব্যক্তিসহ ১৩৯ জন নিহত হয়েছেন। একটি মানবাধিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার এ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জম্মু ও কাশ্মিরে স্বাধীনতাপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় সংগঠন অল পার্টি হুররিয়াত কনফারেন্স। বছরে দু’বার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় সেনারা ২০২টি ঘেরাও ও অনুসন্ধান অভিযান চালিয়েছে এবং বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে ৩০টি। এ সময় ৫৮টি বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৫০ জনকে।

এসব অভিযানে ৫৭ জন কাশ্মিরি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা ও ৬৪ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন।

মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অভিযানে সন্দেহভাজন কাশ্মিরি স্বাধীনতাপন্থীদের সাথে সঙ্ঘাতের সময় কমপক্ষে ৫৮টি বাড়ি ধ্বংস করে ‘দখলদার’ ভারতীয় সেনারা।

এদিকে ভারতীয় সেনাদের হাতে ১৮ বেসামরিক মানুষ নিহত হন বিভিন্ন সঙ্ঘাতের ঘটনায়। এর মধ্যে কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী শীর্ষ নেতা মোহাম্মদ আশরাফ শেহরিয়েকে হত্যা করে ভারতীয় বাহিনী। এছাড়া কাশ্মিরের হান্ডওয়ারা জেলায় এক রহস্যজনক বিস্ফোরণে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়।

২০২১ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৪০ বার ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়। এ সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী ৩৫০ জনকে আটক করেছে এবং তাদের দেশটির বিভিন্ন জেলে বন্ধী করে রাখা হয়েছে বলে ওই মানবাধিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

২০১৯ সালের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মিরের দীর্ঘদিনের আধা-স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার পর থেকেই সেখানে এসব সংঘাত ও আটকের ঘটনা বেড়েছে।

গত সপ্তাহে ভারতপন্থী কাশ্মিরি নেতারা নরেন্দ্র মোদির আহ্বানে একটি সভায় সমবেত হন। মোদির সাথে হওয়া এ আলোচনা সভার মাধ্যমে কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসেনি। কারণ, ওই সভায় ভারতপন্থী কাশ্মিরি নেতারা আরো ব্যাপক আলোচনার আগে জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের স্বায়ত্তশাসন ক্ষমতা ফেরত চান।

সূত্র: ইয়েনি সাফাক

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ