আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: দেশব্যাপী ডিজিটাল কোরবানির হাট উদ্বোধন করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি।
মঙ্গলবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং ই কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে ও এটুআইয়ের কারিগরি সহায়তায় এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনলাইন হাটের উদ্বোধন করেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ এবং এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আব্দুল মান্নান, এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির।
ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার অনুষ্ঠানে ডিজিটাল হাটের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন, ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল ভিডিও উপস্থাপনের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন এবং এটুআই এর ই-কমার্স প্রধান রেজোয়ানুল হক জেমি ডিজিটাল হাটের বিষয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, “করোনা সংক্রমণ রোধে আমাদের জনসমাগম থেকে দূরে থাকেতে হবে। এজন্য ডিজিটাল ব্যবস্থাকে রপ্ত করতে হবে এবং সেটা কাজে লাগাতে হবে। সমগ্র বাংলাদেশ ডিজিটাল ব্যবস্থায় এগিয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষও এখন ডিজিটাল ব্যবস্থায় যুক্ত হতে পারছে। এ বাস্তবতায় বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ডিজিটাল হাট সময়োপযোগী উদ্যোগ। এ বছর মোট কোরবানির পশুর ২৫ শতাংশ ডিজিটাল ব্যবস্থায় বিপণনে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৫৭ হাজার গবাদিপশু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিক্রয় হয়েছে। এটি খুবই আশাব্যঞ্জক।”
তিনি আরও বলেন, “সমৃদ্ধ আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সবাই ভোগ করছে, এমনকি একসময় এটা নিয়ে যারা বিদ্রূপ করত তারাও এ সুবিধা ভোগ করছে। শেখ হাসিনার অনবদ্য সৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। সেই বাংলাদেশে করোনাকালে যদি ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা না হতো তাহলে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পড়তে হতো। এ বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরাধ্য সাধনা এবং প্রচেষ্টার বাস্তবায়ন হওয়া বাংলাদেশ।”
মন্ত্রী এ সময় আরও যোগ করেন, “প্রাণিসম্পদ খাতে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩১ জন খামারিকে দুই ধাপে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। খামারিরা যাতে বিপর্যস্ত অবস্থায় না পড়ে সে জন্য খামারিদের সংগঠিত করে উৎপাদিত দুধ, ডিম, মাংস ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থা অনেক সহায়তা করেছে।”
উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দেশব্যাপী সকল জেলা-উপজেলার কোরবানির পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের একই প্ল্যাটফর্মে আনার লক্ষ্য নিয়ে দেশব্যাপী ডিজিটাল হাট চালু করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই এর কারিগরি সহায়তায় এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর আওতায় www.digitalhaat.net প্ল্যাটফর্মে সারা দেশের ২৪১টি ডিজিটাল হাট যুক্ত করা হয়েছে।
এনটি