রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
আফগানিস্তানের এক ইঞ্চি মাটিও নিয়ে কোনো চুক্তি নয়: প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা বক্তা আমির হামজার ক্ষমা প্রার্থনা, সতর্ক করল জামায়াত আফগানের পানি ও বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের আলেম প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ ধর্মীয় অনুশাসনের শিথিলতা পরিবারব্যবস্থা সংকটাপন্ন করে তুলছে: শায়খ আহমাদুল্লাহ বাগরাম বিমানঘাঁটি ফেরত না দিলে খারাপ কিছু ঘটবে, হুমকি ট্রাম্পের আ.লীগকে দল হিসেবে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা উচিত : নাহিদ ইসলাম সিলেটে ১ মাস ধরে নিখোঁজ আবিদুল মিয়া সিলেট মহানগরীর ২০নং ওয়ার্ড যুব জমিয়তের আহবায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির প্রয়োজন- আহমদ আবদুল কাইয়ূম জেদ্দায় হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনী নভেম্বরে

নবি কারিম সা. নামাজে যেসব সুরা বেশি পড়তেন!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: নামাজ ফরজ ইবাদত। আর নামাজে কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করা ফরজ, আর সুরা ফাতেহার সঙ্গে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। এক্ষেত্রে পবিত্র কোরআনের যেকোনো স্থান থেকে তেলাওয়াত করলে নামাজের ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু নামাজে কিছু সুরা বেশি পড়তেন। বুজুর্গ আলেমরা কেরাতের ক্ষেত্রে নবী করমি (সা.)-এর অনুসৃত নিয়ম অনুসরণকে সুন্নত বলেন। নবী কারিম (সা.) সাধারণত নামাজে কিভাবে এবং কোন কোন সুরা পড়তেন তা এখানে তুলে ধরা হলো-

পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের কেরাত : পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজে কোরআন তেলাওয়াতে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত-

১. সফর অবস্থায় সুরা ফাতেহার পর যেকোনো সুরা মিলিয়ে নিলেই চলবে। এ ক্ষেত্রে কোনো বাধ্যবাধ্যকতা নেই। ২. ফজর ও জোহরের নামাজে সুরা হুজুরাত থেকে সুরা বুরুজ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।

৩. আসর ও এশার নামাজে সুরা তারিক থেকে সুরা বায়্যিনাহ পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া। ৪. মাগরিবের নামাজে সুরা জিলজাল থেকে সুরা নাস পর্যন্ত সুরাগুলো থেকে পড়া।

সুন্নত ও অন্য নামাজের কেরাত : ফরজ নামাজ ছাড়া সুন্নতসহ অন্য নামাজে কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা সুন্নত-

৫. নবী কারিম (সা.) ফজরের সুন্নত নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং দ্বিতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।

৬. হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বেতের নামাজের প্রথম রাকাতে সুরা দুহা, দ্বিতীয় রাকাতে সুরা কাফিরুন এবং তৃতীয় রাকাতে সুরা ইখলাস পড়তেন।

৭. নবী কারিম (সা.) জুমার দিন ফজরের নামাজে প্রায়ই সুরা আস সাজদা ও সুরা দাহর পড়তেন। ৮. তিনি জুমার নামাজে প্রায়ই সুরা আলা ও সুরা গাশিয়া অথবা সুরা জুমা ও সুরা মুনাফিকুন পড়তেন।

৯. হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ফরজ নামাজের প্রথম রাকাতে দ্বিতীয় রাকাত অপেক্ষা দীর্ঘ কেরাত পড়তেন। ১০. নবী কারিম (সা.) ফজর নামাজে অন্য নামাজের চেয়ে দীর্ঘ কেরাত পড়তেন।

আলেমদের মতে, নিজের পক্ষ থেকে কোনো নামাজের জন্য কোনো সুরা নির্দিষ্ট করে নেওয়া শরিয়ত পরিপন্থী। -মালা বুদ্দা মিনহু : ৪৯-৫০

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ