রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৬ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
পিআর সিস্টেমের নির্বাচন নিরাপদ নির্বাচন, আদর্শের নির্বাচন: শায়খে চরমোনাই মসজিদ নিয়ে দ্বন্দ্ব, সড়কে জুমা আদায় হেফাজতের চার রাহবার সিরাতে মুস্তাকিমের পথ প্রদর্শক ছিলেন: হেফাজত আমির শ্রীমঙ্গলে খেলাফত মজলিসের সিরাতুন্নবী (সা.) সম্মেলন ‘পেশীশক্তি ও কালো টাকার দৌরাত্ম বন্ধে পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই’ ডাকসু-জাকসুর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে, আশা জামায়াত আমিরের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক  শিক্ষার্থীদের সততার চর্চা করতে হবে: ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ অদৃশ্য শক্তি ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিচ্ছে: তারেক রহমান সংবিধান সংশোধন ছাড়া নির্বাচন হলে সেটি প্রহসনের হবে : বুলবুল

পাকিস্তানে ডিপথেরিয়ায় ৩৯ শিশুর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: পাকিস্তানে ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের তরফে ডিপথেরিয়া প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পাকিস্তানে নিয়মিত টিকাদানের হার বৃদ্ধির দাবি করা হলেও, কমপক্ষে ৩৯ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে টিনএজাররাও রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউনিসেফের পক্ষ থেকে রোগ প্রতিরোধী সিরাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ডব্লিউএইচও একই সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্যান্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন ও অ্যান্টি-ডিপথেরিয়া সিরামের অভাবে ডিপথেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটে। তারা বলছেন, বিশ্বজুড়ে রোগ নির্মূলে অ্যান্টি-ডিপথেরিয়া সিরাম খুব কম পরিমাণে তৈরি করা হয়।

পাকিস্তানের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, প্রতি সপ্তাহে পাকিস্তানের পাঞ্জাব, সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখাওয়া ও বেলুচিস্তানে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরেও আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

দেশটির চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা এমন পরিস্থিতির জন্য ফেডারেল ও প্রদেশিক সরকারকে দায়ী করেছেন। শিগগির ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা।

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপথেরিয়া মানবদেহের শ্বসনতন্ত্রে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণজনিত রোগ। মানবদেহের শ্বসনতন্ত্র কিংবা ত্বক ও চোখের কনজাংটিভা এই রোগে আক্রান্ত হয়। সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বা ত্বকে ডিপথেরিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে এলে এই রোগ দ্রুত ছড়ায়। সংক্রমণের ২ থেকে ৬ দিনের মধ্যে এর লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয়।

টিকার মাধ্যমে ডিপথেরিয়া প্রতিরোধ করা যায়। ডিপথেরিয়ার টিকাকে বলে ডিপিটি ভ্যাকসিন। এই টিকা দিলে শিশুর ডিপথেরিয়া, ধনুষ্টঙ্কারসহ বেশ কয়েকটি রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়, বলছেন চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা।

-এসআর


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ