সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ ।। ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
বাংলাদেশের সঙ্গে আরও গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক চায় কানাডা ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৩৬ বঙ্গোপসাগরে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করলো বাংলাদেশ নৌবাহিনী বিডিআর হত্যায় দলগতভাবে জড়িত আওয়ামী লীগ, মূল সমন্বয়কারী তাপস: কমিশন পাকিস্তানের সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্পর্ক খারাপ করে রাখা হয়েছিল: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা লন্ডনে জমিয়ত নেতাদের উদ্যোগে বিশেষ দোয়া মাহফিল জাতীয়করণ হচ্ছে ৫৫০ ইমাম-মুয়াজ্জিনের চাকরি বেঁচে আছেন ইমরান খান, দেশ ছাড়তে চাপ দিচ্ছে সরকার: পিটিআই নেতা ২ ডিসেম্বর আট দলের বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশ পরিদর্শনে শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কামালকে প্রথম প্রত্যর্পণের অফিসিয়াল তথ্য নেই: পররাষ্ট্র উপ‌দেষ্টা

৬ লেনের দাবিতে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ, দীর্ঘ যানজট

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার দাবিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে রোববার (৩০ নভেম্বর) সকাল থেকেই অবরোধ চলছে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দ্রুত সড়ক প্রশস্তকরণের দাবি তোলেন।

পূর্বঘোষিত এ কর্মসূচি পালন করছে ‘চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়ক উন্নয়ন আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও চকরিয়া—তিন স্থানে একযোগে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা মহাসড়ক অবরোধ করলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

অবরোধে অংশ নেওয়া স্থানীয়দের অভিযোগ, এই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক এখন ‘মৃত্যুফাঁদে’ পরিণত হয়েছে। তাদের ভাষ্য, প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এবং সংবাদমাধ্যমেই তার প্রমাণ মিলছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুরোধ ও দাবি জানানো হলেও এখনো কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।

বিক্ষোভকারীরা জানান, এই মহাসড়ক শুধু স্থানীয়দের জন্য নয়, দেশের অর্থনীতি, পর্যটন এবং রোহিঙ্গা ত্রাণ কার্যক্রমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ কক্সবাজারগামী এ রুটে যাতায়াত করেন। অথচ দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই সড়কের বহু অংশ এখনো অত্যন্ত সরু। জাঙ্গালিয়ার মতো কিছু স্থানে রাস্তা ঢালু ও আঁকাবাঁকা হওয়ায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। রাতে লবণ পরিবহনকারী যানবাহনের কারণে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে পড়ে, যা দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়। প্রতিটি দুর্ঘটনার পর সড়ক প্রশস্ত করার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো পরিবর্তন দেখা যায় না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এ দাবিতে এর আগেও আন্দোলন হয়েছে। গত ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধনের পর প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। পরে ১১ এপ্রিল সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকেও স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তবে বাস্তব অগ্রগতি না থাকায় এলাকাবাসী আবারও আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান তারা।

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ