শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫ ।। ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৪ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
এবার চা বাগানে ছবি তোলার সময় দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেলো বিএসএফ কর্মকর্তাদের মেরুদণ্ড শক্ত করে কাজ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর এখন মানুষ মন খুলে লিখছেন, সমালোচনা করছেন : প্রেস সচিব গাজায় ত্রাণ বহনকারী জাহাজে ইসরায়েলের হামলা কাশ্মীর হামলার পেছনে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন নারীবিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলামবিরোধী: হেফাজতে ইসলাম পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে খাদ্য মজুতের নির্দেশ হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে সাভারে মোটর সাইকেল শোডাউন গুম হওয়া মুফতি শাইখুল ইসলামের সন্ধান চায় তার পরিবার ‘দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক হওয়া উচিত’

শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে : সাক্কু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে দিয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন টানা দু’বারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ৯৮০ ভোটে এগিয়ে থাকার কথা জানিয়ে এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে আইনি লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহেদুন্নবী চৌধুরী ফলাফল ঘোষণার পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উপস্থিত সাংবাদিকদের একথা বলেন সাক্কু।

তিনি বলেন, ‘আমি পুরোপুরিভাবে এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। এ বিষয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নেব। আমার হিসাবে ৯৮০ ভোটে এগিয়ে ছিলাম। শেষ মুহূর্তে ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ইভিএমে যেহেতু নির্বাচন হয়েছে, ফলাফল ঘোষণায় তাহলে এতো দেরি কেনো করল? এতেই প্রমাণিত হয় ফলাফল পাল্টে দেয়া হয়েছে।

বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ফল ঘোষণা শুরু হয়। এ নির্বাচনে মোট কেন্দ্র সংখ্যা ১০৫টি, ভোটার দু’লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।

২০০৫ সাল থেকে কুমিল্লা নগরের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন মনিরুল হক। ওই বছর প্রথম কুমিল্লা পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হন তিনি। এরপর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ায় ২০১২ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

এবার বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করায় মনিরুলের সামনে দল ও নির্বাচন-দু’টির একটিকে বেছে নেয়ার সুযোগ ছিল। নগরের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র প্রার্থী হন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনিরুল লড়ছিলেন টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে।

এনটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ