মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ।। ২ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ২১ জিলহজ ১৪৪৬

শিরোনাম :
সরাইলে আদ দা'ওয়াহ ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরায়েলের হামলা ইরানের হাসপাতালে হামলা, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ বিতর্কিত ৩ নির্বাচন আয়োজনে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ  তেহরানে আবারও বিস্ফোরণ, এলাকাবাসীকে সরে যেতে বলছে ইসরায়েল ফ্যাসিবাদের দোসরদের মুখোশ উন্মোচনের দিন আজ: ডা. ইরান ২৮ জুন মহাসমাবেশ সফলে খুলনায় ইসলামী আন্দোলনের যৌথসভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস খাগড়াছড়ি জেলা শাখার নতুন কমিটি গঠিত সত্যিই কি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ইরানের পাশে দাঁড়াবে পাকিস্তান? ইসলামী আন্দোলনে নতুন পদ পেলেন ইফতেখার তারিক ও শরীয়তুল্লাহ

সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ানে চাকরি হারালেন ইমাম!


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ফাইল ছবি

সুদ-ঘুষ ও অন্যায়-অত্যাচারীর বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছিলেন ইমাম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন মসজিদ কমিটির কেউ কেউ। ইমামের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয় যে, এক পর্যায়ে তিনি চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন। 

ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদে। চাকরি হারানো ইমামের নাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের চাঁদ করিম গ্রামের মজমল মিয়ার ছেলে হাফেজ মো. হামিদুল ইসলামকে প্রায় চার বছর আগে চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদে ইমামতির দায়িত্ব দেন সমাজপতিরা। সেখানে ইসলামের আদর্শে ইমামতি করেন হামিদুল ইসলাম। এরই মধ্যে গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মুসল্লিদের উদ্দেশে জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় তাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ আখ্যায়িত করে গালি দেওয়া হয়। মসজিদটির কিছু দায়িত্বশীল ব্যক্তি এই গালি দেন বলে অভিযোগ ওঠে।

এরপর কিছু দিন আগে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে মসজিদে বয়ান দেন ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম। এতেও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন কতিপয় মুসল্লি। তখন থেকে এই ইমামকে সরানোর জন্য বিভিন্ন অপকৌশল চালানো হয়। গেল রমজানে তারাবির নামাজ পড়াতে না দেওয়া সহ অন্যান্য সামাজিক বিষয়েও ইমামকে বঞ্চিত করা হয়।

এছাড়া মসজিদটির নাম পরিবর্তন করে চিকনী উত্তরপাড়া জামে মসজিদ নামে চালাচ্ছেন সেই দায়িত্ববান ব্যক্তিরা। সেইসঙ্গে ইমাম হামিদুল ইসলামের সঙ্গে অশোভনীয় আচরণের প্রতিবাদ করায় জাহাঙ্গীর আলম সরকার হারুন নামের এক মুসল্লিকে সমাজ ছাড়তে হয়েছে বলে জানা গেছে।  

এ বিষয়ে হাফেজ মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘সমাজপতিদের অনুরোধে গত চার বছর আগে চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদে ইমাম হিসেবে যোগদান করি। এরই ধারাবাহিকতায় মুসল্লিদের উদ্দেশে জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ায় আমার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। মসজিদটির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের এমন আচারণের কারণে আমি ইমামতি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছি।’ 

এ ব্যাপারে চিকনী সরকার পাড়া জামে মসজিদ পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা ছামছুল সরকার বিদ্যুত বলেন, ‘আমাদের ইমাম হাফেজ মো. হামিদুল ইসলামকে রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেওয়ার ঘটনাটি সত্য বটে। ইমামের সুদ-ঘুষের বিরুদ্ধে বয়ানকে কেন্দ্র করে আর কোনো ঝামেলা না বাড়ানোই ভালো।’

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ