আল্লাহর নৈকট্য, ত্যাগের মহিমা ও ভ্রাতৃত্বের অনুভূতি নিয়ে আজ শনিবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হলো পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত।
সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এই জামাত শেষ হয় সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে।
এ মহাসমাবেশে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, বিশিষ্ট আলেমে দীন মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক (হাফিযাহুল্লাহ)। নামাজ শেষে তিনি কুরবানির তাৎপর্য তুলে ধরে খুতবায় দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও ঐক্য কামনায় আল্লাহর দরবারে মুনাজাত করেন।
ঈদের জামাতে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ বিচারপতিগণ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, সরকারি কর্মকর্তা এবং সর্বস্তরের ঈমানদার মুসল্লিগণ।
ভোর থেকেই রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে স্রোতের মতো মুসল্লিরা ছুটে আসেন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ঈদগাহ প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে। নামাজের কাতারগুলো বিস্তৃত হয় পূর্ব-পশ্চিমে। সাদা পোশাকে আচ্ছাদিত মুসল্লিদের এই সমাবেশে যেন এক অপার্থিব দৃশ্যের অবতারণা হয়।
ঈদগাহের বিশাল প্যান্ডেলটি ছিল প্রায় ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের। এতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। আলাদা জায়গা ছিল মুসলিম নারী মুসল্লিদের জন্যও।
ছোট ছোট শিশুদের বাবা-মায়ের হাত ধরে ঈদগাহে আসতে দেখা যায়, কচি মুখে ছিল ঈদের খুশির হাসি। নামাজ শেষে পরস্পরের কোলাকুলি, ঈদের সালাম ও দোয়ার দৃশ্য ছিল হৃদয়জুড়ানো।
নামাজে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে দায়িত্ব পালন করে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঈদুল আজহার ত্যাগ ও ঈমানের এ দিনটি জাতীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গণে ছিল এক অনন্য সাক্ষ্য, যেখানে ধনী-গরিব, শাসক-প্রজার ভেদাভেদ ভুলে সবাই দাঁড়ায় এক কাতারে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মহান সাধনায়।
এসএকে/