ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লাখো মানুষের আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীনতার পরে ৫৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আমরা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার পাই নাই। বরং বাংলাদেশকে বিশ্বের সেরা দুর্নীতিবাজ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে বিগত সরকারগুলো। বিগত বছরগুলোতে রাজনৈতিক হানাহানিতে লাখো মায়ের বুক খালি হয়েছে। জনমানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়েছে। হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এরপরে এলো জুলাই অভ্যুত্থান। হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে। এখনো তারা বিছানায় কাতরাচ্ছে। অন্ধ হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণে মানুষ হতাশ হচ্ছে। এই পরিস্থিতি সহ্য করা হবে না। মানুষকে আবারো আশাহত হতে দেয়া যাবে না।
মঙ্গলবার (২৭ মে) ঠাকুরগাঁওয়ে ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে বলেন, বিদ্যমান প্রশাসন, রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও দলগুলোর স্বার্থান্বেষি আচরন অন্তবর্তী সরকারের কাজ করার সুযোগ নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেছি। এবং জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও সংস্কারের দাবি জানিয়েছি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, দেশে একটা দল কেবলই নির্বাচন নির্বাচন করছে। যারা নির্বাচনের জিগির তুলেছে তাদের অতিত আমরা জানি। প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়সীমা আর বিএনপির দাবিকৃত সময়সীমার মাঝে পার্থক্য মাত্র ছয় মাস। এই ছয়মাসের জন্য অন্তবর্তী সরকারের ওপরে চাপ প্রয়োগ করাকে জাতি ভালোভাবে দেখছে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশ, জাতি ও মানবতার পক্ষে আমাদের সম্মিলিত লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমি আপনাদের পাশে চাই। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৯৮৭ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সকল ধরণের রাজনৈতিক প্রলোভন এড়িয়ে আমরা কাজ করে গিয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলীয় ব্যানারে রাজপথে লড়াই করেছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার আন্দোলনেও আমরা রাজপথে থেকেছে। তাই আগামী নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশকে বিজয়ী করতেই হবে।
এমএইচ/