শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক মদিনায় তিন বছর ধরে আইসিইউতে থাকা এক বাংলাদেশি আলেমের করুণ কাহিনি আল্লামা আহমদ শফী রহ.: খণ্ড খণ্ড গল্প চামড়ায় দেওয়া লবণে রং মিশিয়ে তৈরি হতো বিট লবণ

আল্লাহর সঙ্গে মুসা (আ.)-এর কথা বলার স্থানে রিসোর্ট নির্মাণ করছে মিসর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বিশ্বের অন্যতম পবিত্র স্থান সিনাই বা মুসার পর্বত। মিসরে অবস্থিত এই পাহাড়ে মহান আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছিলেন হযরত মুসা (আ.)।

কিন্তু সেই পবিত্র স্থানটিতেই এখন বিলাসবহুল হোটেল, ভিলা ও রিসোর্ট নির্মাণ শুরু করেছে মিসর। ফলে দেশটিতে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনা।

মুসার পর্বত শুধু মুসলমানদের কাছেই নয়, বরং খ্রিস্টান ও ইহুদিদের কাছেও সমানভাবে পবিত্র। বিশ্বাস করা হয়, এখানেই হযরত মুসা (আ.) ঐশ্বরিক বাণী লাভ করেছিলেন। স্থানীয়রা পাহাড়টিকে ‘জাবাল মুসা’ নামে চেনে।

দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকেরা বেদুইন গাইডদের সঙ্গে নিয়ে এই পাহাড়ে ওঠেন, সূর্যোদয় উপভোগ করেন এবং বিভিন্ন পদযাত্রায় অংশ নেন। তবে এখন সরকার এটিকে মেগা-রিসোর্টে রূপান্তরের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত এ স্থানে রয়েছে একটি শহর, পাহাড় ও ষষ্ঠ শতাব্দির প্রাচীন খ্রিস্টান মঠ। অথচ এখানেই দ্রুত গতিতে নির্মাণ চলছে বিলাসবহুল হোটেল, মোটেল ও কেনাকাটার বাজার।

স্থানীয় বেদুইন সম্প্রদায়ের বিরোধিতা সত্ত্বেও এ প্রকল্প এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ব্রিটিশ ভ্রমণ লেখক বেন হফলার বলেন, “এই প্রকল্পটি স্থানীয়দের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি এমন কোনো উন্নয়ন নয় যা তারা চেয়েছিল, বরং বাইরের স্বার্থ রক্ষার জন্য করা হচ্ছে।”

এ নিয়ে সবচেয়ে বেশি আপত্তি জানিয়েছে গ্রিস। কারণ মঠটির সঙ্গে গ্রিসের গভীর ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় সংযোগ রয়েছে। গত মে মাসে মিসরের এক আদালত রায় দেয়, বিশ্বের প্রাচীনতম খ্রিস্টান মঠ সেন্ট ক্যাথেরিনস সরকারি জমির ওপর নির্মিত। ওই রায়ের পর মিসর-গ্রিসের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট জানায়, এই পবিত্র স্থানের ওপর তাদের ধর্মীয় কর্তৃত্ব রয়েছে। এমনকি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিজেও এ মঠের জন্য একটি সুরক্ষা পত্র দিয়েছিলেন। মঠটির ভেতরে ফাতেমি আমলে নির্মিত একটি ছোট মসজিদও রয়েছে। প্যাট্রিয়ার্কেট একে “খ্রিস্টান-মুসলিম শান্তির প্রতীক এবং সংঘাতময় বিশ্বে আশার আশ্রয়স্থল” হিসেবে উল্লেখ করেছে।

সূত্র: বিবিসি

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ