জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশি-আমেরিকানদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। শহরটির জ্যাকসন হাইটসের ‘লিটল বাংলাদেশের’ বাসিন্দারা তার জয়ে বেশ খুশি। এমনকি মামদানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এ নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে আগ্রহও বেশি ছিল।
দক্ষিণ এশিয়ার বংশোদ্ভূত প্রথম কোনো আমেরিকান ও মুসলিম হিসেবে জোহরান মামদানি নিউইয়র্কের মেয়র হয়েছেন।
কাবাব কিং নামে একটি রেস্তোরাঁয় খেতে যেতেন মামদানি। রেস্তোরাঁর মালিকের ছেলে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরবকে বলেছেন, নির্বাচনের দিন রাতে তাদের এখানে নির্বাচন পার্টি আয়োজন করা হয়। সেখানে অনেক মানুষ এসেছিলেন। যদিও প্রথমে তার এমন কিছুর ইচ্ছা ছিল না। কিন্তু মামদানির অনেক ভক্ত থাকায় তারা পার্টি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন।
‘লিটল বাংলাদেশ’ কমিউনিটিসহ দক্ষিণ এশিয়ার বংশোদ্ভূত মানুষকে এতদিন আমেরিকান হিসেবে ধরা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন এই বাংলাদেশি-আমেরিকান। কিন্তু এখন তারা তাদের নেতা পেয়েছেন। আর এমন একজন মেয়র হয়েছেন যিনি তাদেরই লোক। তিনি বলেন, “মনে হতো আমরা আমেরিকানদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না, আমাদের মনে হতো আমরা আমেরিকান না।”
রামোন কৌশিক নামে ওই রেস্তোরাঁর এক কাস্টমার বলেছেন, “মামদানির জয় আমাকে আনন্দ দিচ্ছে কারণ আমি জেনারেশন জেড-এর মানুষ। আমি মনে করি না, এরচেয়ে বড় রাজনৈতিক বিজয় আমি আর পেয়েছি। তার মতো একজনকে ভোট দিয়ে সত্যি ভালো লাগছে।”
“মামদানি যখন কথা বলেন, আপনি তখন তার কথা শুনতে চান। সবমিলিয়ে তিনি আসলে মানুষকে সহায়তা করতে চান।”
“মামদানি তার বিজয়ী ভাষণে বলেছেন এই শহর চলে অভিবাসীদের দ্বারা। এখন শহরটির নেতৃত্ব দেবেন এক অভিবাসী। এ কথাটি অসাধারণ ছিল। কোটিপতির বদলে যেসব সাধারণ মানুষ শহরটি চালায় তাদের একটি কণ্ঠ থাকা উচিত। এটি এবার হয়েছে।”
সূত্র: দ্য নিউ আরব
এলএইস/